আ. লীগ জোর করে ক্ষমতায় থাকার দল নয়: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশে সীমাহীন উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু দলীয় পরিচয়ে দু-একজন মাস্তানের জন্য আমাদের কাজ যেন ম্লান হয়ে না যায়। বসন্তের কোকিলদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতা রাখার পার্টি নয়। জনগণের ইচ্ছার বাইরে ক্ষমতায় থাকার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।

শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার পর ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর একটি শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে। কারও স্বার্থে আঘাত লাগতে পারে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে চলা শুদ্ধি অভিযান সারা দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছে। শেখ হাসিনার সৎসাহস আছে। দলের কেউ অপকর্ম করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি আমলে একটি অপকর্মেরও সাজা হয়নি। কিন্তু আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিচ্ছে। মির্জা ফখরুল বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তারা একটি অপকর্মেরও শাস্তি দিতে পারেননি। শেখ হাসিনার সৎ সাহস আছে। অপকর্ম করলে শাস্তি পেতেই হবে। আওয়ামী লীগ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নুসরাত হত্যাকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে মির্জা ফখরুল আবোল-তাবোল বকছেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের লোক যে সাজা পেল তার প্রশংসা করছেন না। সবকিছুতেই তারা নেতিবাচক রাজনীতি খুঁজে।’

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথকে সম্মেলন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে কোনো অভিযোগের বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছি না। তবে তাকে কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটা নেত্রীর নির্দেশ। সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি সম্মেলনের কাজ করবে।’

দলীয় সম্মেলন নিয়ে কাদের বলেন, ‘জাতীয় কাউন্সিল আসছে। সম্মেলন মানেই কিছু নতুন মুখ আসবে। কাউকে আমরা রিটায়ারমেন্ট দিই না, দায়িত্বে পরিবর্তন হয়। শক্তিশালী দল ছাড়া শক্তিশালী সরকার হয় না। দলকে শক্তিশালী করতে নিয়মিত সম্মেলন দরকার।’

দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, আপনারা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিন। আমরা তারিখ পরে জানাব। সিটি করপোরেশন নির্বাচন এগিয়ে আসছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ–আলোচনা করে, সম্ভাব্য তারিখ জেনে আমরা সম্মেলনের তারিখ জানব। প্রার্থীর বিষয়ে নেত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মনোনয়ন বোর্ড বসবে। নেত্রী সিদ্ধান্ত দেবেন কারা মেয়র প্রার্থী হবেন। তবে একক কাউন্সিলর প্রার্থী নিয়ে আপনারা আলাপ–আলোচনা করুন, সিদ্ধান্ত নিন। পানি ছাড়া যেমন মাছ বাঁচতে পারে না, তেমনি জনগণ ছাড়াও আওয়ামী লীগ বাঁচতে পারবে না। জনগণকে আমাদের সঙ্গে রাখতে হবে।’

 

টাইমস/এসআই

Share this news on: