ইচ্ছে মতো ফি আদায় করছেন চিকিৎসকরা

সরকারের সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি না থাকায় রাজধানী ঢাকায় চিকিৎসকরা নিজেদের ইচ্ছা মতো ফি আদায় করছেন রোগীদের কাছ থেকে। বিশেষজ্ঞ না হয়েও চিকিৎসকরা পাল্লা দিয়ে বাড়াচ্ছেন ভিজিট ফি।

ঢাকার কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ফি নেয়া হচ্ছে। একই যোগ্যতার কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিচ্ছেন ৫০০ টাকা, কেউ নেন এক হাজার কেউবা তারও বেশি। তিন মাসের মাথায় পুরানো রোগী কিছু চিকিৎসকের কাছে হয়ে যান নতুন রোগী।

ফি কাঠামো নির্ধারণের ক্ষেত্রে চরম আপত্তি খোদ চিকিৎসকদেরই। আর এ নিয়ে তেমন মাথাব্যথা নেই স্বাস্থ্য বিভাগের।

রোগীদের কাছ থেকে ইচ্ছে মতো ফি আদায় করলেও সময় দেবার ক্ষেত্রে অধিকাংশ চিকিৎসক আন্তরিক নন। এমন অভিযোগ প্রায় সব রোগীরই। আবার প্রশ্ন ওঠে বেশি টাকা দিয়ে মানদণ্ড নির্ধারণ হয় চিকিৎসকের যোগ্যতার?

একজন রোগী জানান, টেস্টগুলোর রিপোর্ট দেখানোর ক্ষেত্রে আমার মনে হয় ভিজিট না নেয়াটাই ভালো। কিন্তু সেখানেও তারা ফি নেন।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমার কথা ৫ মিনিট ধরে শুনতে হবে। শরীরের হাত দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে দুই হাজার টাকা ভিজিট নেবে এটা প্রতারণা।

বিএমডিসি সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ দাবি করেন, দুই একজন বাদ দিলে বেশি সংখ্যক ফি গ্রহণযোগ্য।

২০১৭ সালে প্রস্তাবিত স্বাস্থ্যসেবা আইনের খসড়ায়, ডাক্তারদের ফি নির্ধারণে সরকার পদক্ষেপ নেবে উল্লেখ থাকলেও ফি কত হবে বা কবে থেকে নির্ধারণ করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা হয়নি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বেসরকারি হাসপাতালেও মোটামুটি একটা ভিজিট করাই আছে। তারপরেও এই বিষয়ে আমরা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করব।

ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখার ক্ষেত্রে কোন নিয়মনীতির মধ্যেই থাকতে চান না চিকিৎসকরা। শৃঙ্খলা তৈরিতে কয়েক দফা চেষ্টা করেও সফল হয়নি সরকার। তবে চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠনগুলো আন্তরিক হলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হতো বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ