ইশরাত হাসান সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি তার বাচ্চাকে নিয়ে সম্প্রতি কক্সবাজারে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার সময় ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ধরতে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এই দীর্ঘ সময় কোথাও তিনি ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার খুঁজে পাননি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
সমস্ত পাবলিক প্লেসে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ স্থাপনের জন্য আদালতের অনুমতি নিয়ে নয় মাস বয়সী শিশু উমাইর বিন সাদী এবং তার মা ইশরাত হাসান একটি রিট আবেদন করেছেন।
এই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার পরিচালিত-নিয়ন্ত্রিত বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল, হাসপাতাল, শপিং মল, বিমানবন্দর, বাস স্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশনের মত জনসমাগমস্থলে ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
রোববার এ রুল জারি করেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ওইসব স্থানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না এবং ব্রেস্ট ফিডিং ও বেবি কেয়ার কর্নার স্থাপনে একটি প্রস্তাব তৈরির জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, গণপূর্ত সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব এবং বেসামরিক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আব্দুল হালিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আব্দুল হালিম পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিভিন্ন স্থানে স্মোকিং জোন আছে, কিন্তু ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার নেই, বেবি কেয়ার জোন নেই। সারাদেশেই কিন্তু এ অবস্থা। বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিবেদনও হয়েছে। তারপরও সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। তাই এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আদালত রুল জারি করেছেন।’
ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘কর্মস্থলসহ জনসমাগমস্থলে প্রায়ই দুধ পান করানো নিয়ে মায়েদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তাই সমস্ত পাবলিক প্লেসে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করতে হবে যেন কোনো মা সন্তানকে বুকের দুধ পান করাতে অস্বস্তিতে না পড়েন।’
টাইমস/এসআই