জীবনযাপনে ভুল অভ্যাস ও করণীয়

সপ্তাহের পর সপ্তাহ, বছরের পর বছর কেটে যাচ্ছে নির্দিষ্ট বা এলোমেলো কিছু অভ্যাস মিলিয়ে মিশিয়ে। খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রাত্যহিক সময়গুলোতে সবকিছুই ঠিকঠাক নিয়মে চলছে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা, ব্যায়াম করা, নিয়মিত জিমে যাওয়া, ঠিকমতো ঘুমানো- সবই ঠিকঠাক চলছে। কিন্তু এর মাঝেও কিছু ছন্দপতন হচ্ছে, যা শরীর আর মনকে আর সাপোর্ট দিচ্ছে না। ফলে একটা অস্বস্থিভাব রয়েই যাচ্ছে। এর কারণে হতে পারে জীবনযাপনে ভুল অভ্যাস। যার কারণে ক্যান্সারসহ ভয়াবহ অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

চলুন জেনে নিই জীবনযাপনে এমন কিছু ভুল অভ্যাস ও করণীয়-

মোবাইল ও বালিশের দূরত্ব
প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজন রাতে ঘুমানোর সময় মোবাইল ফোন নিজের কাছে রাখেন এবং প্রায় অর্ধেক মানুষ এটাকে অ্যালার্ম হিসেবে ব্যবহার করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন, মাথা এবং মোবাইল ফোনের কম দূরত্ব আপনার সুখনিদ্রার মান ও পরিমাণ দুটোতেই নাটকীয় প্রভাব ফেলে।

ঘুমের থেরাপিস্টদের মতে, কাছে ফোন রাখলে তা আমাদের উদগ্রীব করে তোলে, আমরা কল বা মেসেজের অপেক্ষা করতে থাকি। ফলে বিশ্রামে ডুবে চোখ বেশিক্ষণ বন্ধ রাখতে পারি না।

করণীয়
বালিশের নিচে ফোন নিয়ে ঘুমাবেন না। এটি মাথা থেকে কমপক্ষে ২০ সেমি দূরে রাখুন। সন্ধ্যা থেকেই নিজের কাছ থেকে ধীরে ধীরে সব প্রযুক্তিগত জিনিস সরিয়ে ফেলুন।

চেয়ার থেকে পিঠের যথার্থ দূরত্ব
অফিসে সারাদিন একভাবে চেয়ারে বসে থাকা ছাড়া উপায় নেই। হয় চাকা লাগানো আরামদায়ক চেয়ার, নয়ত কাঠের চেয়ারে পিঠ টান করে বা ঝুঁকে কাজের ফিরিস্তি। আর সেখান থেকেই পিঠব্যথার শুরু। এছাড়া ভয়াবহ পিঠ ব্যথার পেছনে কারণ হিসেবে রয়েছে কম্পিউটার, ট্যাবলেট ও ল্যাপটপ ব্যবহারে দীর্ঘসময় চেয়ারে বসে থাকা। পাশাপাশি চেয়ারের পেছনের দিকে সহায়ক ও পিঠের দূরত্ব ঠিক না থাকা। প্রতিদিন একটানা আট ঘণ্টা ডেস্কে কাজ করা মানে দুর্যোগ টেনে আনা। প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাতজনের ঘাড়ব্যথা থাকে এসব যন্ত্রপাতি ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার না করার কারণে।

করণীয়
বসার সময় শিরদাঁড়া সোজা করে বসুন। মেঝেতে পা সমান করে রাখুন।

ত্বকের স্বাস্থ্য
বেশিরভাগ মানুষই সানস্ক্রিন লাগাতে বিরক্ত বোধ করেন। এটা দরকার রোদ এবং সৃষ্ট দাগ থেকে বাঁচার জন্য, যা সাধারণত হয় ঘাড়, কান, কাঁধে। গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের মধ্যে মেলানোমা খুঁজে পাওয়া যায় পা ও বাহুতে, পুরুষদের মধ্যে সমস্যার এলাকা হলো মাথা ও ঘাড়। এসব জায়গা রোদ থেকে দূরে রাখা দরকার বেশি, কারণ এসব জায়গাই সূর্যের প্রভাব ও ত্বকের ক্যান্সারের সঙ্গে জড়িত।

করণীয়
শরীরের প্রতিটি অংশে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন। নিয়ম অনুযায়ী ওপর থেকে গোড়ালি পর্যন্ত ঘষুন, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখুন কোনো অংশ বাদ গেল কিনা। সানস্ক্রিন নির্বাচনে সতর্ক হোন।

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: