ধানমন্ডিতে জোড়া খুন: জড়িত সন্দেহে আটক ৩

রাজধানীর ধানমন্ডিতে শিল্পপতির ফ্ল্যাটে দুজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- ওই বাড়ির বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী বেলায়েত, নিরাপত্তাকর্মী নুরুজ্জামান ও বাচ্চু মিয়া।

ধানমন্ডি থানার ওসি আব্দুল লতিফ জানান, শুক্রবার রাতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমরা আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। সন্দেহভাজন আরেকজনকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।

শুক্রবার সন্ধ্যার পর ধানমন্ডি ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় কাজী মনির উদ্দিন নামের এক শিল্পপতির ফ্ল্যাটে জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন আফরোজা বেগম (৬৫) ও গৃহকর্মী দিতি (১৭)। মনির উদ্দিন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর একজন পরিচালক। আফরোজা বেগম সম্পর্কে তার শাশুড়ি।

কাজী মনির উদ্দিন জানান, ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। তার মৃত শ্বশুরের দেহরক্ষী ছিলেন বাচ্চু মিয়া।

সম্প্রতি কাজী মনির উদ্দিন ও বাচ্চু মিয়া মিলে তার শাশুড়ির জন্য দিতিকে গৃহকর্মী হিসেবে নিয়ে আসেন। ওই বাড়ির সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, হত্যাকাণ্ডের দিন বাচ্চু মিয়া বাসা থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। হত্যার সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না সে ব্যাপারে তদন্ত করছে পুলিশ।

মরদেহে ধারালো অস্ত্রের আঘাত

শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মরদেহ দুইটির ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. কবির সোহেল।

তিনি বলেন, তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নিহত দুজনের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে কবির সোহেল জানান, আফরোজা বেগমের পেটে, বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এর মধ্যে একটি আঘাত তার কিডনি ভেদ করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। গৃহকর্মীর ক্ষেত্রে তিনি বলেন, তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়। তবে গলা কাটার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতাল মর্গের একটি সূত্র জানায়, দুইটি মরদেহের ভিসেরা সংগ্রহ করা হয়েছে। একইসঙ্গে মৃত্যুর আগে ওই গৃহকর্মী ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কিনা, তা জানতেও পরীক্ষা করা হচ্ছে।

ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ দুইটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও সূত্র জানায়।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on: