হাইতিতে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হলেন সিলেটের মকবুল আলী

হাইতিতে ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথের মকবুল আলী। এর আগে বাংলাদেশের আরেকজন ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিলেন। তিনি হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের প্রভাকরপর গ্রামের আনোয়ার চৌধুরী।

যুক্তরাজ্যের টাওয়ার হেমলেটের স্পিকার ও সিভিক মেয়র আয়াছ মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিশ্বনাথের ধরারাই গ্রামের বাসিন্দা। 

আয়াছ মিয়া বলেন, গত ৩০ অক্টোবর থেকে মকবুল আলীকে ‘ডোমিনিক্যান রিপাবলিক অ্যান্ড নন-র‌্যাসিডেন্ট অ্যাম্বাস্যাডর টু দ্য রিপাবলিক অব হাইতি’র ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, চলতি বছরের ২৯ আগস্ট সে দেশের সরকারি ওয়েবসাইটে মকবুল আলীর ছবিসহ তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত করার বিষয়টি আপডেট করা হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে তিনি রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করবেন।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী পশ্চিম চাঁন্দশীরকাপন গ্রামের মদরিছ আলী ও কামরুননেছা দম্পতির একমাত্র ছেলে মকবুল। পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে মকবুল আলী সর্বকনিষ্ঠ। যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড শহরের বাসিন্দা তিনি।

জানা গেছে, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত হওয়ার আগে মকবুল আলী মধ্যপ্রাচ্যের বাহরাইনে ডেপুটি ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে ছিলেন। এর আগে মিশরের কায়রোতে ব্রিটিশ দূতাবাসেও নিযুক্ত ছিলেন তিনি। লিবিয়াতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল এনভয় গ্রুপের চিফ অব স্টাফ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন মকবুল আলী।

যুক্তরাজ্যের সরকারি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১০ সালে মকবুল আলী ‘অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ অ্যাম্পায়ার ‘ওবিই’ খেতাবে ভূষিত হয়েছিলেন। সে সময় যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাকে ‘ওবিই’ খেতাবে ভূষিত করেন।

মকবুল আলীর ভাতিজা লুৎফুর রহমান জুয়েল জানান, তার চাচা মকবুল আলীর জন্ম যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড শহরে। এ পর্যন্ত দুই বার দেশে এসেছেন তিনি। সর্বশেষ ২০১৬ সালের প্রথম দিকে দ্বিতীয়বার দেশে এসে দুই সপ্তাহ বাড়িতে অবস্থান করেছিলেন। এ সময় তিনি আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছিলেন।

 

টাইমস/এইচইউ/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ