বালিশকাণ্ড: প্রকৌশলী মাসুদসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমসহ ছয়জন প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপ-পরিচালক মো. নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি অনুসন্ধান দল তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।

কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রথম পর্যায়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

আরও যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তারা হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. তারেক, তাহাজ্জুদ হোসেন ও মো. মোস্তফা কামাল, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. কামারুজ্জামান, মো. আবু সাঈদ ও মো. ফজলে হক।

এর আগে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানে প্রকল্প পরিচালকসহ ৩৩ প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক।

গত ১৭ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করে দুদক। এই অনুসন্ধান দলের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুর রহমান ও উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ।

রূপপুর প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের থাকার জন্য গ্রিন সিটি আবাসন পল্লীতে ২০ তলা ১১টি ও ১৬ তলা আটটি ভবন হচ্ছে। এরই মধ্যে ২০ তলা আটটি ও ১৬ তলা একটি ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২০ তলা ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের জন্য প্রতিটি বালিশ কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৫৭ টাকা। আর ভবনে বালিশ ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ৭৬০ টাকা।

প্রতিটি রেফ্রিজারেটর কেনার খরচ দেখানো হয়েছে ৯৪ হাজার ২৫০ টাকা। রেফ্রিজারেটর ভবনে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১২ হাজার ৫২১ টাকা। একেকটি খাট কেনা দেখানো হয়েছে ৪৩ হাজার ৩৫৭ টাকা। আর খাট ওপরে ওঠাতে খরচ দেখানো হয়েছে ১০ হাজার ৭৭৩ টাকা।

প্রতিটি টেলিভিশন কেনায় খরচ দেখানো হয়েছে ৮৬ হাজার ৯৭০ টাকা। আর টেলিভিশন ওপরে ওঠাতে দেখানো হয়েছে ৭ হাজার ৬৩৮ টাকার খরচ। বিছানার খরচ ৫ হাজার ৯৮৬ টাকা দেখানো হয়েছে; তা ভবনে তুলতে খরচ দেখানো হয়েছে ৯৩১ টাকা। প্রতিটি ওয়ারড্রোব কিনতে খরচ দেখানো হয়েছে ৫৯ হাজার ৮৫৮ টাকা।

আর তা ওঠাতে দেখানো হয়েছে ১৭ হাজার ৪৯৯ টাকার খরচ। এরকম বৈদ্যুতিক চুলা, বৈদ্যুতিক কেটলি, রুম পরিষ্কারের মেশিন, ইলেকট্রিক আয়রন, মাইক্রোওয়েভ ইত্যাদি কেনাকাটা ও ভবনে তুলতে অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়েছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ