ভয়ংকর হচ্ছে বুলবুল, মোংলা-পায়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ভয়ংকর থেকে অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় (সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম)-এ পরিণত হয়েছিল বুলবুল। শুক্রবার সেটি ‘ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম’ বা অতি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

তিনি বলেছেন, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাতের যেকোনো সময় বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ সময় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা পাঁচ থেকে সাত ফুট পর্যন্ত হতে পারে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তর সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে। এই কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখানো হয়েছে। আর চট্টগ্রামে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত ও কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে,  বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে। আপাতত এর গতিমুখ সুন্দরবনের দিকে।

আবহাওয়াবিদ আফতাব উদ্দিন জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় এ ঝড় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ভোলা জেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় রাখা হয়েছে। সাত জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে লোক সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি রয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোয় ২০০০ প্যাকেট করে শুকনো খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিটি জেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি কমিটির সভা হয়েছে। তারা যথাযথ প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও জেলা উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

 

টাইমস/এসআই

Share this news on:

সর্বশেষ