দেশের সীমানা পেরিয়ে এবার আবারও আলোচনায় তাসনিয়া ফারিণ। টিভি নাটক থেকে ওয়েব ফিল্ম-সবখানেই নিজের অভিনয় দক্ষতায় জয় করেছেন দর্শকের মন। এবার নতুন এক প্রজেক্টের শুটিংয়ে কলকাতায় পা রাখতেই যেন শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন। ‘কারাগার’-খ্যাত এই অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক কলকাতা সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই সরগরম দুই বাংলার বিনোদন অঙ্গন।
ভারতীয় এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফারিণকে প্রশ্ন করা হয়, ওপার বাংলার মানুষ যখন আসেন, তখন তাদের কাছ থেকে জানতে ইচ্ছে করে ওদিকের অবস্থা কেমন? উত্তরে তাসনিয়া বলেন,‘ভালো আছে বাংলাদেশ, ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। আমিও কাজ করছি। এখন ওখানে সিনেমার বাজেটও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যদিও হলের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন আছে, সব মিলিয়ে ভালোই’।
এরপর ‘অন্ধকার সময়’ এর প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি রাজনীতিমনস্ক নই। এসব বিষয়ে খুব বেশি কিছু বলতে পারব না, বলতে চাইও না। একজন শিল্পীর এত জটিল বিষয়ে কথা না বলাই শ্রেয় মনে করি’। দুই দেশের সংস্কৃতি ও সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফারিণের জবাব ছিল স্পষ্ট ও আত্মমর্যাদাপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটা খুব হাইপোথেটিক্যাল ভাবনা। কোনো দিন যা হওয়ার নয়, এ রকম চিন্তা করতেও চাই না। আমি আমার দেশ নিয়ে যথেষ্ট গর্বিত। গর্ব করার কারণও আছে’।
গর্বের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘আমার দেশের মুক্তিযুদ্ধ আমাকে গর্বিত করে। আমরা অনেক কষ্টে স্বাধীন হয়েছি। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের রক্তে, ইতিহাসে, ঐতিহ্যে। আলাদা দুটো দেশ মানেই আমরা আলাদা নই। এখনো আমরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলতে পারছি, কাজ করতে পারছি। দুই দেশের স্বার্থ বজায় রেখে সুস্থ আদানপ্রদানই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
গত ২৩ অক্টোবর নতুন প্রজেক্টের শুটিংয়ের জন্য কলকাতায় যান তাসনিয়া ফারিণ। সেখানে তার দেখা হয়েছে ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে। তাদের একসঙ্গে কলকাতার সিনেমায় কাজের গুঞ্জনও ছড়িয়েছে। যদিও এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানাননি কেউই। কয়েক দিনের মধ্যেই দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন ফারিণ।
টিজে/টিকে