কোক স্টুডিও বাংলা’র মতো জনপ্রিয় আয়োজনের রূপকার হিসেবে এখন পরিচিত সংগীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব। তার এই ক্যারিয়ার, সংগীতের প্রতিভা নিয়ে অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের মুখোমুখি হয়ে অকপটে নানা বিষয়ে আলোচনা করেন এই জনপ্রিয় গায়ক। নিজের জীবনধারা এবং বাংলাদেশের গানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। জানান, সামাজিক মাধ্যমে অতিসক্রিয়তার এই যুগেও দুই-তিন মাস ফোন ব্যবহার না করেই কাটিয়ে দিতে পারেন এই শিল্পী।
এক প্রশ্নে কোক স্টুডিও বাংলা’র তৃতীয় সিজনে তার উপস্থিতি কম দেখা যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে অর্ণব জানালেন, বর্তমানে তিনি তার নতুন গান ‘তাঁতী’ নিয়ে ব্যস্ত। তার ওপর এত বেশি দায়িত্ব থাকে যে কম্পিউটারের সামনে বসে নিজের কাজ করার সুযোগ পান না।
কলকাতায় স্বাধীন গান-বাজনার (ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিউজিক) পরিবেশ নিয়ে বলতে গিয়ে অর্ণব বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা টেনেছেন। বলেন, ‘ছোটবেলায় আমরা কবীর সুমন, নচিকেতা, মহীনের ঘোড়াগুলি শুনে বড় হয়েছি। কিন্তু বর্তমানে কলকাতায় গানের জায়গাটি যেন বদ্ধ হয়ে আছে। বাংলাদেশে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সুন্দর করে গান লিখছে, সুর করছে।’
অর্ণব বলেন, ‘আমার ‘ভাল্লাগে না’ অ্যালবামটার যদি স্পনসর না পেতাম, একা গান বের করে, মিউজিক ভিডিও তৈরি করা, মিউজিশিয়ানদের টাকা দেওয়া এই এত কিছু করা সম্ভব হত না। একটা সাপোর্ট দরকার। সেটার মনে হয় ঘাটতি রয়েছে।’
শিল্পীদের বর্তমান সময়ে সমাজমাধ্যমে উপস্থিতি কতটা প্রয়োজন- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্ণব স্পষ্ট জানান, তিনি ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ্যে আনতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না এবং সমাজমাধ্যমের বিশেষ প্রয়োজনীয়তাও অনুভব করেন না। নিজের জীবনধারার উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আমেরিকায় গিয়ে দু’মাস ফোন ব্যবহার করিনি, ফোনে চার্জ ছিল না। তার পর চার্জ দিইনি। কারও প্রয়োজন হলে স্ত্রীর মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে।’
অর্ণব মনে করেন, শিল্পীদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো। একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য বা কমেন্ট পড়া এড়িয়ে চলেন। অর্ণবের ভাষায়, ‘লোকেদের কমেন্ট পড়ি না। এগুলো অপ্রয়োজনীয়।’
এবি/টিকে