ধূমপায়ীদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা দ্বিগুণ

ধূমপান সবার জন্যেই বিপদজনক, তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি ধূমপান একজন সুস্থ ব্যক্তির ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হন তবে ধূমপান আপনার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটাতে সক্ষম।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও খাদ্যাভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হন তবে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে জীবনযাত্রায় স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন করতে হবে।

আপনার খাদ্যাভ্যাসে এমন সব খাবার যুক্ত করতে হবে, যা আপনার রক্তে চিনির মাত্রা স্বাভাবিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও এমন আরও কিছু অভ্যাস রয়েছে, যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করতে সহায়তা করে।

ধূমপান বিভিন্নভাবে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। শুধু ফুসফুস নয়, এটি আপনার দেহের অভ্যন্তরে অন্যান্য অঙ্গ এবং বিভিন্ন ক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ধূমপান আপনার রক্তে শর্করার মাত্রাকেও প্রভাবিত করতে পারে। আপনি যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত ধূমপায়ী হন, তবে রক্তে শর্করার মাত্রায় ধূমপানের কী প্রভাব রয়েছে তা আপনার অবশ্যই জানা উচিত।

ভারতের অ্যাস্টার সিএমআই হাসপাতালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের পরামর্শদাতা ড. মহেশ ডি. এম. এই বিষয়ে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, “যারা প্রতিদিন ২০ টিরও বেশি সিগারেট গ্রহণ করেন, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। ধূমপান রক্তে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। যারা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিন্তু এখনও ধূমপান করেন, তাদের হৃদরোগ বা স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি ২-৩ গুণ বেড়ে যায়”।

ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অবশ্যই কর্তব্য। আপনি যদি ধূমপায়ী হন তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা আপনার পক্ষে অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। যারা ইতিমধ্যে ডায়াবেটিসে ভুগছেন ধূমপানের ফলে তারা প্রদাহ, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ প্রভৃতি অনুভব করতে পারেন এবং তাদের হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। ধূমপান একজন সুস্থ ব্যক্তির ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকিও বাড়িয়ে তোলে।

ডায়াবেটিসের জটিলতাসমূহ নিয়ন্ত্রণ করতে আপনাকে অবশ্যই ধূমপান ত্যাগ করতে হবে। আপনি যদি বহু চেষ্টার পরেও ধূমপান ছাড়তে অক্ষমতা বোধ করেন, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সহায়তা গ্রহণ করুন। তথ্যসূত্র: এনডিটিভি.কম

 

টাইমস/এনজে/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ