এ এক কঠিন রোগ। কোনোভাবেই এই অসুখ নিরাময়ের উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচের লড়াই নিমিষেই ধূলোয় মিশে যাচ্ছে শেষ মুহূর্তের কোনো এক ভুলে। জয়ের ম্যাচ ড্র কিংবা ড্র করা ম্যাচ হারতে হচ্ছে হাভিয়ার কাবরেরার দলকে। সমস্যাটা আসলে কোথায় ? মানসিকতায়, কৌশলে নাকি অন্য কিছু ?
সবশেষ গত পরশু নেপালের বিপক্ষে হামজা চৌধুরীর জোড়া গোলে ৯০ মিনিট পর্যন্ত এগিয়ে থেকে যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে গোল হজম করে ২-২ গোলে ড্র করে জয় হাতছাড়া হয় বাংলাদেশের। এর আগে অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে ৩-৩ সমতায় শেষ হতে চলা ম্যাচে যোগ করা সময়ের ১১তম মিনিটে গোল হজম করে ৪-৩-এ হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
কেন বারবার শেষ দিকে হৃদয়ভঙ্গের স্বাক্ষী হতে হয় বাংলাদেশের ? আগামী মঙ্গলবার এএফসি এশিয়া কাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আজ অনুশীলনের সময় গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সমিত সোম। শেষ মুহূর্তে গোল খাওয়ার ব্যাধি নিয়ে জানতে চাওয়া হয় এই মিডফিল্ডারের কাছে।
সমিতের মতে ভাগ্যটা বাংলাদেশের হয়ে কাজ করছে না,
‘এটা ফুটবল, এখানে এইগুলা হয়, তাই না? আর আমাদের লাকটা আমাদের দিকে যাচ্ছে না। শেষ ম্যাচে ঐ কর্নার কিক যে নেপাল পেয়েছে, ওইটা আসলে মনে হয় অফসাইডও ছিল, তাই না? কিন্তু ফুটবল এভাবেই হয়। জানিনা কি কারনে এগুলো হচ্ছে।’
সমিতের মতে মনোযোগের ঘাটতি একটি কারণ হতে পারে, ‘আসল একটা জিনিস হলো আমাদের মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ফোকাস ধরে রাখতে হবে, শেষ বাঁশি বাজা পর্যন্ত। সেটার জন্য আমাদের একটু মনোযোগ বাড়াতে হবে আর তৈরি থাকতে হবে।
এই সমস্যা থেকে উতরানোর উপায়ও বাতলে দিলেন কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ফুটবলার সমিত। শেষদিকে মাইন্ড গেম খেলার কৌশলের কথা বললেন তিনি,
‘আমরা যে শেষ তিন-চার-পাঁচ ম্যাচে খেলছি, বেশিরভাগ ছিল যে আমরা এগিয়ে ছিলাম। তো ওই অভিজ্ঞতা আমারদের নেই যে আমরা লিড ধরে রেখেছি। ম্যাচটা কিভাবে শেষ করবো, মানে কৌশলে কি পরিবর্তন আনতে হবে, আমি মনে করি একটু মাইন্ড গেম খেলতে হবে প্রতিপক্ষের সঙ্গে। সময় নষ্ট করার মতো এমন কিছু। এসব আমরা এখনও শিখি নাই আর আস্তে আস্তে ভাই আরও শিখবো। অভিজ্ঞতাটা পাব, আর জিততে পারবো।’
বাংলাদেশের কোচ কাবরেরা এটা নিয়ে কাজ করা করার কথা বলেছেন। স্প্যানিশ এই কোচ বলেছেন, শেষ দিকে গোল হজমের পুনরাবৃত্তি কাজ করবে তাঁর দল,
‘আমরা ভুলগুলো বিশ্লেষণ করব, ভিডিও দেখে প্রস্তুতি নেব, যেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে এমনটা আর না ঘটে। আমাদের এখন চার দিন সময় আছে কাজ করার। এই সময়ে ভুলগুলো সংশোধন করার চেষ্টা করব।’
এবি/টিকে