জুলাই গণঅভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে খুলনাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পাশাপাশি নগরীর বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে খুলনা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও মোড়ে মোড়ে পুলিশ, র্যাব ও নৌবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা তুলনামূলক কম। রায়কে ঘিরে গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) খুলনার বিভিন্ন এলালায় মিছিল করে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন যুব ও ছাত্রলীগ। আজ রায়কে কেন্দ্র করে নাশকতার শঙ্কায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ কাজ করছে।
এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই দিনের (১৬ ও ১৭ নভেম্বর) ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। এর আগে এই রায় ঘোষণার দিন ধার্যের দিনে লকডাউন কর্মসূচি দিয়েছিল ক্ষমতাচ্যুত দলটি। এ দুই কর্মসূচিকে ঘিরে গত কয়েকদিন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর প্রবেশমুখে টহল বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি অলিগলি ও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে তা কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।
এদিকে সকাল থেকেই খুলনার শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতাকর্মীরা। দলটির খুলনার সংগঠক হামিম রাহাত বলেন, আমরা খুনি শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে রাজপথে আছি। যতক্ষণ না তার ফাঁসির রায় হচ্ছে ততক্ষণ আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের এই অবস্থান শুধু তার ফাঁসির দাবিতে নয়। হাসিনার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে যদি কোনো নিষিদ্ধ সংগঠন শহরে নাশকতার চেষ্টা করে আমরা প্রতিরোধ করার জন্য রাজপথে অবস্থান করছি।
টিজে/টিকে