চিত্রনায়িকা সানাই মাহবুবের করা যৌতুক মামলা থেকে অবশেষে ইতি টানলেন তিনি নিজেই। স্বামী আবু সালেহ মূসার বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে করা মামলাটি দায়ের হয়েছিল চার মাস আগে। অবশেষে সেই মামলাই প্রত্যাহার করে নিলেন আলোচিত এই মডেল-অভিনেত্রী।
আদালত প্রাঙ্গণে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সানাইয়ের আইনজীবী মিঠুন সাহা। তিনি বলেন, “তারা দুজন দুজনকে মন থেকে চান। সে কারণেই বাদী সানাই মাহবুব যৌতুক মামলাটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। স্বামীর বিরুদ্ধে তার আর কোনো অভিযোগ নেই। স্বামী–স্ত্রী দুজনকে ফের একত্র করতে পেরে আমরা আইনজীবীরা সত্যিই আনন্দিত।”
এর আগে মামলার শুনানি শেষে মুঠোফোনে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাতজোড় করে স্বামীর বিচারের আর্জি জানিয়েছিলেন সানাই। অভিযোগ করেছিলেন-যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ ছিল, ২০২২ সালের ২৭ মে আবু সালেহ মূসাকে বিয়ে করেন সানাই। বিয়েতে সানাইয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ও ১৫ ভরি স্বর্ণ দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ব্যবসার কথা বলে সানাইকে পরিবারের কাছ থেকে টাকা আনতে চাপ দেন মূসা। সানাই নিজের সঞ্চয় থেকে ১২ লাখ ও বাবার কাছ থেকে ৭ লাখ- মোট ১৯ লাখ টাকা দেন। কিন্তু তা নষ্ট করে ফেলার পর আরও ২২ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছিল, যৌতুক না পেয়ে মূসা স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেন। একপর্যায়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সানাইকে নির্যাতন করে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। মোটা অংকের টাকা না দিলে সংসার টিকবে না বলেও জানান।
বিভিন্ন সময়ে পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সানাই। এমনকি দুইবার লিগ্যাল নোটিশও পাঠান তিনি। কিন্তু সেসবেও সাড়া দেননি মূসা। উল্টো ২২ লাখ টাকা না দিলে সংসার করবেন না বলে হুমকি চালিয়ে যান।
অবশেষে সব অভিযোগ তুলে নিয়ে মামলাটি প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে আবারও সমঝোতায় ফিরলেন সানাই–মূসা দম্পতি। আদালত প্রাঙ্গণেই দুজনকে হাসিমুখে দেখা যায়-যা নতুন শুরুর আভাস দিচ্ছে বলে মনে করছেন উপস্থিতরা।
এসএন