হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিটের ভাতিজার মাকে ট্রাম্প প্রশাসনের জোরদার অভিবাসন প্রয়োগ কার্যক্রমের মধ্যে কর্তৃপক্ষ আটক করেছে বলে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র এনবিসি নিউজকে নিশ্চিত করেছে।
সূত্রটি জানায়, চলতি মাসে ম্যাসাচুসেটসের রিভিয়ারে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) কর্মকর্তারা ওই নারীকে হেফাজতে নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির (ডিএইচএস) এক মুখপাত্র বলেন, ব্রুনা ক্যারোলিন ফেরেইরা ‘ব্রাজিল থেকে আসা একজন অপরাধী অবৈধ অভিবাসী’, যিনি তার পর্যটন ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করেছিলেন। ওই ভিসার মেয়াদ ১৯৯৯ সালের জুনে শেষ হয়েছিল।
মুখপাত্র বলেন, ফেরেইরার বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে একবার গ্রেপ্তার থাকার রেকর্ড রয়েছে। তবে সেই মামলার কী পরিণতি হয়েছিল, তা স্পষ্ট নয়।
ডিএইচএসের মুখপাত্র জানান, পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত সূত্রের মতে ফেরেইরা কখনোই লিভিটের ভাতিজার সঙ্গে বসবাস করেননি। বর্তমানে তাকে দেশ থেকে বহিষ্কারের কার্যক্রমের আওতায় দক্ষিণ লুইজিয়ানা আইসিই প্রসেসিং সেন্টারে রাখা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডিএইচএস সচিব ক্রিস্টি নোমের অধীনে, মুখপাত্র বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানরত সবাই বহিষ্কারের আওতায় পড়বে।’
সূত্রটি জানায়, লিভিটের ভাতিজা জন্মের পর থেকেই পুরো সময় নিউ হ্যাম্পশায়ারে তার বাবার সঙ্গে বসবাস করছে, সে কখনো তার মায়ের সঙ্গে থাকেনি এবং বহু বছর ধরে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগও নেই।
ফেরেইরার পরিবার একটি গোফান্ডমি তহবিল সংগ্রহ অভিযানে জানিয়েছে, ১৯৯৮ সালে শিশুবয়সে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে আনা হয়েছিল এবং তিনি এখানে ‘একটি স্থিতিশীল, সৎ জীবন গড়ে তুলতে নিজের সব শক্তি প্রয়োগ করেছেন।’
তাতে আরো বলা হয়, ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস (ডিএসিএ) কর্মসূচির আওতায় সুরক্ষা পাওয়ার মাধ্যমে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে তার ‘আইনি অবস্থান বজায় রেখেছিলেন’।
এই কর্মসূচির লক্ষ্য হলো শৈশবে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে আনা অভিবাসীদের বহিষ্কার থেকে সুরক্ষা দেওয়া।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস মঙ্গলবার জানিয়েছে, অভিবাসন অভিযানে আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ডিএসিএর আওতায় সুরক্ষাপ্রাপ্তরাও রয়েছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মুখপাত্র ট্রিশিয়া ম্যাকলাফলিন মঙ্গলবার এপিতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেন, ডিএসিএর সুবিধাভোগীরা ‘বিভিন্ন কারণে তাদের মর্যাদা হারাতে পারেন, যার মধ্যে অপরাধে জড়িত থাকার বিষয়টিও রয়েছে।’
টিজে/টিকে