ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রায় ১০ লাখ ডলারের জরিমানা বহাল রেখেছেন আদালত

যুক্তরাষ্ট্রের একটি ফেডারেল আপিল আদালত বুধবার ২০১৬ সালের নির্বাচন নিয়ে হিলারি ক্লিনটন এবং অন্য ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে করা র‌্যাকেটিয়ারিং মামলায় ‘শাস্তিযোগ্য আচরণ’-এর কারণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার আইনজীবীদের ওপর আরোপিত প্রায় ১০ লাখ ডলারের জরিমানা বহাল রেখেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১তম সার্কিট কোর্ট অব আপিলসের একটি প্যানেল ট্রাম্পের করা দুই কোটি ৪০ লাখ ডলারের মামলাটি খারিজের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন এবং একমত হয় যে ওই মামলার বহু আইনি যুক্তি ‘নিশ্চয়ই ভিত্তিহীন ও তুচ্ছ’ ছিল।

তিন বিচারকের বেঞ্চ আরো রায় দেন, দক্ষিণ ফ্লোরিডার মার্কিন জেলা বিচারক ডোনাল্ড এম. মিডলব্রুকস ট্রাম্প ও তার তৎকালীন আইনজীবী এবং বর্তমানে নিউ জার্সির ভারপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যাটর্নি আলিনা হাব্বার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাদের ‘অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ যুক্তির জন্য ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৯৮৯.৩৯ ডলার পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে কোনো ভুল করেননি।

মামলাটিতে অভিযোগ করা হয়েছিল, ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ক্লিনটন অন্যদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ট্রাম্প ও রাশিয়া নিয়ে একটি ‘মিথ্যা আখ্যান বুনেছিলেন’, যাতে তাকে ‘অবিশ্বাসযোগ্য, অবৈধ এবং মানহানিকর’ হিসেবে তুলে ধরা যায়।

মিডলব্রুকস রায়ে বলেন, মামলাটি অসংখ্য ভিত্তিহীন দাবিতে পরিপূর্ণ ছিল, যার মধ্যে ছিল ‘মামলা ছাড়াই বিদ্বেষপূর্ণ মামলার দাবি’ এবং ‘ব্যাবসায়িক গোপনীয়তা ছাড়াই গোপনীয়তার দাবি’।

তিনি লেখেন, ‘এই মামলাটি কখনোই হওয়া উচিত ছিল না। আইনি দাবি হিসেবে এর অযোগ্যতা শুরু থেকেই স্পষ্ট ছিল। কোনো যুক্তিসঙ্গত আইনজীবী এটি দায়ের করতেন না।’

তিনি বলেন, মামলাটির উদ্দেশ্য ছিল ‘হয়রানি’ এবং এটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ ব্যবহৃত হচ্ছিল।

মিডলব্রুকস আরো লেখেন, ‘মিস্টার ট্রাম্প একজন বহুল মামলাবাজ ও পরিশীলিত মামলাকারী, যিনি বারবার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে আদালতকে ব্যবহার করছেন। তিনি বিচারিক প্রক্রিয়ার কৌশলগত অপব্যবহারের মূল পরিকল্পনাকারী এবং তাকে এমন কোনো মামলাকারী হিসেবে দেখা যায় না, যিনি অন্ধভাবে কোনো আইনজীবীর পরামর্শ অনুসরণ করছেন। তিনি তার কর্মকাণ্ডের পরিণতি ভালোভাবেই জানতেন।’

তিনি রায় দেন, ‘মিস্টার ট্রাম্প ও তার প্রধান আইনজীবী হাব্বার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

সূত্র : এনবিসি

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জাতিসংঘ ড. ইউনূসের সঙ্গে বেঈমানি শুরু করেছে : গোলাম মাওলা রনি Nov 27, 2025
img
ধারাবাহিকে ফিরছেন অভিনেত্রী অনামিকা চক্রবর্তী! Nov 27, 2025
img
কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিট Nov 27, 2025
img
সব কথা সন্তানদের বলা সম্ভব নয়: রুক্মিণী Nov 27, 2025
img
মগবাজারের দিলুরোডে বহুতল ভবনে আগুন Nov 27, 2025
img
ভারতের জমকালো বিয়েতে গান গেয়ে ২৩ কোটি পেলেন জেনিফার লোপেজ Nov 27, 2025
img
সেনা অভিযানে সারাদেশে আটক ৪৪ Nov 27, 2025
img
গায়ে কালো রঙ আর চোখে মোটা ফ্রেমের চশমায় নতুন লুকে ছোটপর্দার অভিনেত্রী সুদীপ্তা Nov 27, 2025
img
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে জানুয়ারিতে Nov 27, 2025
img
শেষ মুহূর্তে চোখ খুলেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা Nov 27, 2025
img
আবারও টাইব্রেকারে আটকে গেল ব্রাজিল Nov 27, 2025
img
বাকৃবিতে ছাত্রদলের ১৯১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ Nov 27, 2025
img
২৫২ কোটির মাদক মামলায় ওরিকে সাড়ে ৭ ঘণ্টা জেরার পরও অসন্তুষ্ট পুলিশ Nov 27, 2025
img
শত চেষ্টা বিফল, কোটি টাকার ক্ষতি ঠেকাতে ব্যর্থ দীপিকা Nov 27, 2025
img
প্রথম বিদেশ সফরে তুরস্ককে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান পোপের Nov 27, 2025
img
পেছালো বিপিএল মাঠে গড়ানোর সময় Nov 27, 2025
img
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ২১ Nov 27, 2025
img
বিয়েতে মাইক বাজানোর দায়ে সালিস ডেকে কনের বাবা-মাকে বেত্রাঘাত, জরিমানা Nov 27, 2025
img
৬ দেশের প্রখ্যাত কারিদের নিয়ে বায়তুল মোকাররমে আন্তর্জাতিক কিরাত সম্মেলন শুক্রবার Nov 27, 2025
img
দুদক কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ Nov 27, 2025