ভিক্ষাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক তৎপরতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া স্থগিত রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালমান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের মানবাধিকার বিষয়ক কমিটিকে সালমান চৌধুরী জানান, পাকিস্তানে যারা কূটনৈতিক ও ব্লু পাসপোর্টধারী কেবল তাদেরকেই ভিসা দিচ্ছে আমিরাত; বাকি সাধারণ পাকিস্তানিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে বেশ কিছুদিন ধরে।
পাকিস্তানের সিনেট সদস্য এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান সামিনা মুমতাজ জেহরিও এ তথ্য স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, পাকিস্তানের নাগরিকদের অধিকাংশই আমিরাতের ভিসার আবেদন করে ব্যর্থ হচ্ছেন, মুষ্টিমেয় যারা সফল হচ্ছেন তাদেরও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পাকিস্তানের বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক উদ্যোক্তা আসিম বেগ জানিয়েছেন, আমিরাতে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছর ধরে ভিক্ষাবৃত্তিসহ বিভিন্ন অপরাধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উত্তরোত্তর বাড়ছে। সম্ভবত এ কারণেই পাকিস্তানিদের ভিসাপ্রদান স্থগিত রেখেছে দেশটি।
তিনি আরও বলেন, এর আগে পাকিস্তানিদের ভিসা প্রদানের জন্য আবেদনের সঙ্গে পুলিশের কাছ থেকে চারিত্রিক সনদপত্র বাধ্যতামূলক করেছিল আমিরাত। তবে ইসলামাবাদে আমিরাতের দূতাবাসের এক ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক পাকিস্তানের জাতীয় দৈনিক দ্য ডন-কে বলেছেন, পাকিস্তানের নাগরিকদের ভিসার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই।
পাকিস্তান ও আরব আমিরাতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আছে। আমিরাত মধ্যপ্রাচ্যে পাকিস্তানের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার এবং রেমিট্যান্সের প্রধান উৎস। আমিরাতে যেসব দেশের অভিবাসীরা স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, তাদের মধ্যে পাকিস্তানিরা শীর্ষে। প্রতি বছর ইসলামাবাদে আমিরাতের দূতাবাসে প্রতি বছর ভ্রমণ ও কর্মভিসার জন্য আবেদন করেন গড়ে ৮ লাখেরও বেশি পাকিস্তানি।
সূত্র : ডন
এসএস/টিএ