পশ্চিমবঙ্গের ৫৯ শতাংশ মানুষ মমতার পক্ষে

ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের ৫৯ শতাংশ মানুষ। তারা সমর্থন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবিপি আনন্দ ও সিএনএক্সের যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় দৈনিক আনন্দবাজার।

এবিপি ও সিএনএক্সের সমীক্ষায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের ৫০% মানুষ মনে করেন, ধর্মীয় বিভাজনের জন্যই মোদী সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে। আবার ৪৩% মানুষের ধারণা, এতে লাভবান হবে বিজেপি। ৫৫% মানুষ জানিয়েছেন, তারা চান না দেশে নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চালু হোক।

গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফর ও তার প্রতিবাদে শহর উত্তাল হওয়ার আগে এই সমীক্ষা চালায় এবিপি আনন্দ। সমীক্ষায় ২ হাজার ১৩৪ জনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, সিএএ’র পক্ষে সমর্থন রয়েছে রাজ্যের ৪৩% মানুষের। আবার ৬৩% মানুষ জানিয়েছেন, মন্দা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতে মোদী সরকার এনআরসি এবং সিএএ সামনে এনেছে।

এছাড়া সমীক্ষায় ৭১% মানুষ জানিয়েছেন, সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলনে অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার। ৫৯% মানুষ মনে করেন, এই আন্দোলনের জেরেই এনআরসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছেন মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।

এদিকে সমীক্ষার ফলকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এধরণের সমীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, আমরা (তৃণমূল কংগ্রেস) ঠিক পথে চলছি। আমাদের নেত্রী (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) সঠিক দিশায় আন্দোলন পরিচালনা করতে জানেন।

তবে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম দুটি দল সিপিএম ও কংগ্রেস এই সমীক্ষা মানতে নারাজ।

সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, প্রতিদিন এই আন্দোলনের চেহারা বদলাচ্ছে। সমীক্ষায় তা ধরা পড়বে না। দুই সরকারের উপর আস্থা চলে যাওয়ায় মানুষ পথে নেমেছে।

সমীক্ষার প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের বিজেপি-বিরোধিতা আসলে নাটক। তাই এখনই এ সব বলা যাবে না।

এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, এত মানুষ যদি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে রাস্তায় নামত তাহলে আমরা তো হাঁটতেই পারতাম না। এই সমীক্ষা উদ্বাস্তু ও মতুয়াদের তৈরি বলেও দাগ কাটেন এই নেতা।

 

টাইমস/এসএন/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘জুলাই শহীদ’ স্বীকৃতি পাচ্ছেন এক রোহিঙ্গা যুবক Jul 02, 2025
img
চলতি মাসে সর্বোচ্চ পাঁচটি তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস Jul 02, 2025
img
পরের জন্মে প্রিয়াংকার স্বামী হতে চান শাহরুখ Jul 02, 2025
img
বড় দল হিসেবে বিএনপির স্যাক্রিফাইসটাও বেশি , দাবি তারেক রহমানের Jul 02, 2025
img
অনুমোদন ছাড়া আমদানিকৃত মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা Jul 02, 2025
img
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেয়ায় সহকারী কমিশনার চাকরিচ্যুত Jul 02, 2025
img
২৭১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এস আলমের সাইফুল-পিকে হালদারসহ আসামি ১৫ Jul 02, 2025
img
বিপিএলের নিলাম অক্টোবরের আগে হবে না : মাহবুব আনাম Jul 02, 2025
img
সীমানা পুনর্নির্ধারণে স্বচ্ছতার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির Jul 02, 2025
img
দলীয় প্রতীক শাপলা চেয়ে ইসিতে আবেদন নাগরিক ঐক্যের Jul 02, 2025
img
২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭ Jul 02, 2025
img
শেখ রেহানার স্বামী ও দেবরের ১৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ Jul 02, 2025
img
সব কিছুতে ঐকমত্য হয়ে যাওয়াটা বাস্তবসম্মত সম্ভব নয়: জোনায়েদ সাকি Jul 02, 2025
img
নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন শান্ত Jul 02, 2025
img
মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রামে ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও করল বৈষম্যবিরোধীরা Jul 02, 2025
img
ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
‘হাতপাখার সমাবেশ’ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ : ফারুক Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা Jul 02, 2025
img
প্রাক্তনকে ভুলে এবার বীরের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু তারা সুতারিয়ার Jul 02, 2025