ইরানের কিশ দ্বীপে একটি জনপ্রিয় দৌড় প্রতিযোগিতায় হিজাব ছাড়াই নারীদের অংশ নেওয়ার ছবি প্রকাশের পর এর দুই প্রধান আয়োজককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) দেশটির বিচার বিভাগ এই খবর নিশ্চিত করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন কিশ মুক্তাঞ্চলের কর্মকর্তা এবং অন্যজন প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী।
এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন ইরানের অতি রক্ষণশীল মহল বাধ্যতামূলক হিজাব আইন যথাযথভাবে প্রয়োগে ব্যর্থতার অভিযোগে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে আসছে। ১৯৮০-এর দশকের শুরুর দিকে ইরান নারীদের জন্য হিজাব বাধ্যতামূলক করে।
বিচার বিভাগের ওয়েবসাইট মিজানের প্রতিবেদন অনুসারে, আয়োজকদের আগেই "দেশের প্রচলিত আইনকানুন, ধর্মীয় ও সামাজিক নীতি" মানার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এমনভাবে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছে, যা 'সামাজিক শালীনতা লঙ্ঘন করেছে'।
গত কয়েক বছর ধরে, বিশেষ করে ২০২২ সালে মাশা আমিনি (যিনি যথাযথভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে নীতি পুলিশের হেফাজতে মারা যান) মৃত্যুর পর দেশব্যাপী বিক্ষোভের পর থেকে ইরানে অনেক নারী প্রকাশ্যেই হিজাব আইন লঙ্ঘন করছেন।
চলতি সপ্তাহে আইনপ্রণেতাদের পক্ষ থেকে হিজাব আইন প্রয়োগে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠার পর দেশটির প্রধান বিচারপতি গোলাম হোসেন মোহসেনি এজেই আইনটি কঠোরভাবে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। তবে প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সরকার হিজাব আইন লঙ্ঘনকারী নারীদের কঠোর শাস্তির আদেশসংবলিত পার্লামেন্টের একটি আইন অনুমোদন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, কিশ দ্বীপের এই দৌড় প্রতিযোগিতায় প্রায় ৫ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছিলেন।
আরপি/টিকে