তাহরীক মুসলিম শাব্বানের সভাপতি মুশতাক মালিক জানিয়েছেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত এক সভায় হায়দরাবাদে একটি স্মারক ও জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে স্থগিত তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের উদ্যোগে ‘বাবরি মসজিদ ধাঁচের’ কাঠামো নির্মাণের ঘোষণার কয়েক দিনের মধ্যেই হায়দরাবাদের এই পরিকল্পনা সামনে এল।
৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩তম বার্ষিকীতে আয়োজিত এক জনসভায় মুশতাক মালিক ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গ্রেটার হায়দরাবাদে বাবরি মসজিদ স্মারক তৈরি করা হবে। সেই সঙ্গে এর ভেতরেই কয়েকটি জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। কীভাবে ও কবে এটি তৈরি করা হবে, খুব শিগগিরই জানানো হবে।’
১৯৯২ সালে হিন্দুত্ববাদী কর্মীদের ভিড় বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয়, কারণ স্থানটি ভগবান রামের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা হয়। ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায় রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করে এবং পরবর্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তা উদ্বোধন করেন।
বাবরের নামকে কেন্দ্র করে রাজনীতিক বিতর্কের জবাবে মালিক বলেন, এই বিতর্ক সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক প্রচারণা। ভারতীয় গণমাধ্যমকে তিনি জানান, ‘বাবরের নামে কারও বিরক্ত হওয়া উচিত নয়। বাবরি মসজিদ নির্মাণে বাবরের পক্ষ থেকে কোনো রাজস্ব এসেছে—এমন প্রমাণ নেই।’ তিনি আরও বলেন, মুঘল যুগে ধর্মীয় সহাবস্থানের বহু উদাহরণ রয়েছে।
হায়দরাবাদের ঘোষণার একই সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে বাবরি-ধাঁচের কাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্থগিত টিএমসি বিধায়ক হুমায়ুন কবির। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে বিজেপি।
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুঘ বলেন, বাবরের নামে কোনো স্মারক ‘ভারত মেনে নেবে না’।
তিনি দাবি করেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতি ধ্বংস করতে আসা বাবরকে গুরু নানক অত্যাচারী বলেছেন।’
অন্যদিকে হুমায়ুন কবির জানান, তিনি সংবিধানসম্মত অধিকার ব্যবহার করেই একটি মসজিদ নির্মাণ করছেন। তার দাবি, প্রকল্পের বাজেট প্রায় ৩০০ কোটি টাকা এবং এর সঙ্গে হাসপাতাল, অতিথিশালা ও সভাকক্ষও থাকবে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
ইএ/টিএ