চীনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২

চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। সব মিলে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৫ জনে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার নতুন করে আরও প্রায় দেড় হাজার মানুষের দেহে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কেবল চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৭৪ জনে দাঁড়িয়েছে, যা সার্স ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যার চেয়েও বেশি।

এছাড়া চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে আরও ১৭ জায়গায় অন্তত ৭০ জনের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৫ জনে। তবে চীনের বাইরে এ ভাইরাসে কারও মৃত্যুর তথ্য এখন পর্যন্ত আসেনি।

চীন ছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, ভিয়েতনাম, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, সৌদি আরব, কানাডাসহ অন্তত ১৬টি দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিজ দেশের নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। দেশটির জাতীয় অভিবাসন বিভাগের এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনা নাগরিক ও বিদেশিদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্যই জনগণকে বিদেশ সফর স্থগিতের আহ্বান জানানো হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে প্রায় ১৫ কোটি চীনা নাগরিক দেশের বাইরে ভ্রমণ করেছে।

এদিকে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে দেশটির স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল হংকং। মঙ্গলবার এক ঘোষণায় অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে চীনের সঙ্গে ট্রেন ও ফেরি যোগাযোগ স্থগিত করা হবে।

হংকংয়ের নেতা ক্যারি লাম জানিয়েছেন, ভাইরাস যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্যই মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে।

এদিকে চার্টার্ড বা বিশেষ বিমানে করে নাগরিকদের চীনের উহানসহ দেশটির বিভিন্ন শহর থেকে ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ। ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশ।

এর আগে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে চীনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করে শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার কলম্বোর বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে লঙ্কান স্বাস্থ্যমন্ত্রী পবিত্র ওয়ানিআরসি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: