রুপালি পর্দায় তাঁর উপস্থিতি মানেই আলাদা এক আলো। নাচে, অভিব্যক্তিতে আর ব্যক্তিত্বে যাঁকে আজও সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে ধরা হয়, সেই মাধুরী দীক্ষিত এবার বয়স আর বার্ধক্য নিয়ে শোনালেন এক সাহসী ও ইতিবাচক বার্তা। এমন এক সময়ে, যখন গ্ল্যামারের জগতে বয়স ঢাকতে নানা চেষ্টা চলে, তখন তিনি উল্টো স্রোতে হেঁটে স্বাভাবিকতাকেই তুলে ধরলেন সৌন্দর্যের আসল মানদণ্ড হিসেবে।
মাধুরী স্পষ্ট করে জানালেন, বার্ধক্যকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তাঁর মতে, বয়স বাড়া জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ, প্রকৃতির নিয়ম। সেই নিয়মকে অস্বীকার করার বা এড়িয়ে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। তিনি বলেন, যেটা থামানো যায় না, তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ারও কোনও কারণ নেই। এই কথার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে জীবনের প্রতি এক গভীর উপলব্ধি।
অভিনেত্রীর বিশ্বাস, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের অভিজ্ঞতা, পরিণত মনন আর আত্মবিশ্বাস আরও গভীর হয়। সেই পরিণতিই একজন মানুষকে সত্যিকারের সুন্দর করে তোলে। মুখের রেখা বা সময়ের ছাপ নয়, বরং নিজেকে যেভাবে গ্রহণ করা যায়, সেখানেই লুকিয়ে থাকে আসল আকর্ষণ।
মাধুরীর এই বক্তব্য শুধু সৌন্দর্যবোধের সংজ্ঞা বদলায় না, নারীদের জন্য এক শক্ত বার্তাও বহন করে। বয়সকে লুকোনোর নয়, বরং সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করার আহ্বান জানান তিনি। তাঁর আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলা এই কথাগুলো প্রমাণ করে দেয়, সৌন্দর্য কোনও নির্দিষ্ট বয়সে আটকে থাকে না, তা বহমান জীবনের সঙ্গেই এগিয়ে চলে।
আইকে/টিএ