সমাজের চোখ, মানুষের কথা, প্রচলিত ধারণা, এসবের ভিড়েই অনেক সময় চাপা পড়ে যায় সম্পর্কের আসল মানে। ঠিক সেই জায়গাতেই এক স্পষ্ট ও সাহসী বক্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিল। একজন নারী যদি একজন পুরুষের তুলনায় বেশি উপার্জন করেন, তাতে পুরুষের আপত্তি থাকা উচিত নয়, এই সরল কথাটাই যেন নাড়িয়ে দিল বহু পুরোনো সামাজিক ধারণাকে।
এই বক্তব্যে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, সম্পর্কের ভারসাম্য কখনও টাকার অঙ্কে মাপা যায় না। কে কত আয় করছে, সেটাই যদি সম্পর্কের মাপকাঠি হয়ে ওঠে, তাহলে সেখানে ভালোবাসা, সম্মান আর বোঝাপড়ার জায়গা সংকুচিত হয়ে পড়ে। একজন নারীর আর্থিক সাফল্যকে হুমকি হিসেবে দেখার প্রবণতা আসলে সমাজের গেঁথে থাকা মানসিকতারই প্রতিফলন।
বক্তব্যে আরও বলা হয়, সমাজ কী বলবে, এই ভয়টা একেবারে ভুলে যেতে হবে। কারণ সমাজ নয়, সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে দু’জন মানুষের পারস্পরিক সম্মান। একজন নারী এগিয়ে গেলে, সফল হলে, তার পাশে দাঁড়ানোই একজন পরিণত পুরুষের পরিচয়। সেখানে ঈর্ষা বা অস্বস্তির কোনও জায়গা নেই।
এই কথাগুলো যেন আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে অনেক নারীর মনের কথা বলে দেয়। একই সঙ্গে পুরুষদের প্রতিও ছুড়ে দেয় একটি প্রশ্ন, সম্পর্কে কি ক্ষমতার লড়াই চলবে, নাকি সমানতার পথে হাঁটা হবে? আর্থিক স্বাধীনতা কোনও পক্ষের আধিপত্য নয়, বরং দু’জনের যৌথ শক্তি, এই উপলব্ধিই ধীরে ধীরে বদলে দিচ্ছে সম্পর্কের ভাষা।
এই বক্তব্য তাই শুধু একটি মতামত নয়, বরং সমাজকে আয়নায় দাঁড় করানো এক বাস্তব প্রশ্ন। যেখানে ভালোবাসার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে সম্মান, আর সাফল্য হয়ে ওঠে দু’জনেরই উদযাপনের বিষয়।
আইকে/টিএ