শার্শায় মেয়েকে হত্যার পর অন্তঃসত্ত্বা মায়ের আত্মহত্যা

যশোরের শার্শায় চুরির অপবাদ সইতে না পেরে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন অন্তঃসত্ত্বা এক নারী।

রোববার সকালে শার্শা উপজেলার রামচন্দ্রপুরে গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর নাম জুলেখা খাতুন (২৫) ও তার মেয়ের নাম আমেনা খাতুন (৫)। জুলেখা খাতুন ওই গ্রামের আল মামুনের স্ত্রী। জুলেখা খাতুন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

জুলেখার চাচা তরিকুল ইসলাম বলেন, ছয় মাস আগে প্রতিবেশী আলাউদ্দিনের মেয়ে জুলি খাতুনের গলার একটি চেইন হারিয়ে যায়। গতকাল শনিবার আল মামুন ও জুলেখার মেয়ে আমেনা খাতুন একটি স্বর্ণের চেইন গলায় দিয়ে আলাউদ্দিনের দোকানে গেলে চেইনটি তাদের বলে শিশুর গলা থেকে চেইনটি ছিনিয়ে নেন আলাউদ্দিন। এরপর তাকে চোর বলে তিরস্কার করে তাড়িয়ে দেন। মেয়েটির মা দোকানে এসে প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন আলাউদ্দিন।

তরিকুল আরও বলেন, বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি জুলেখা। অপমান সহ্য করতে না পেরে রোববার সকালে মেয়েকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে এবং নিজে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

জুলেখার স্বামী আল মামুন বলেন, আমার শাশুড়ি রোজার মাসে জুলেখাকে একটি স্বর্ণের চেইন দিয়েছে। এ ব্যাপারে আমি অবগত আছি। আমার শাশুড়ি প্রমাণের জন্য শুক্রবার আসার কথা। আমি রোববার সকালে রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ার পর আমার ভাইয়ের মোবাইলে কলের মাধ্যমে জানতে পারি আমার স্ত্রী মেয়েকে মেরে আত্মহত্যা করেছে।

শার্শা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: