নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে বৃদ্ধা নিহত, দগ্ধ একই পরিবারের ৭ জন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাসের চুলা থেকে অগ্নিকাণ্ডে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন দুই শিশুসহ একই পরিবারের আরও ৭ জন। সোমবার ভোর ৫টার দিকে সদর উপজেলার সাহেবপাড়া এলাকার একটি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। অগ্নিদগ্ধদের ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুরজাহান বেগম (৭৫) নামের ওই বৃদ্ধা।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক ক্যাম্প পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, নূরজাহান বেগমের শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল। বাকিদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। তাদের শরীরের ৬০ শতাংশের বেশি পুড়ে গেছে। নিহতের মরদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা আছে।

বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন বাকি সাতজন হলেন- নুরজাহানের ছেলে কীরণ মিয়া (৫০), কীরণের ছেলে আবুল হোসেন ইমন (২২) ও আপন (১০), কীরণের ছোট ভাই হীরণ মিয়া (২৮) ও তার স্ত্রী মুক্তা (২১), তাদের মেয়ে ইলমা (৩), ভাগ্নে কাওছার (১৬)।

জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সাহেবপাড়া এলাকায় একটি তিন তলা বাড়ির নিচতলায় পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকতেন গার্মেন্ট এক্সেসরিজের ব্যবসায়ী কীরণ।

হতাহতদের স্বজন ইলিয়াস জানান, সারারাত গ্যাসের চুলার চাবি ছাড়া ছিল, কিরণের মা নুরজাহান বেগম না বুঝে চুলা জ্বালাতে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে যায় ঘরের চারটি কক্ষে। বিস্ফোরিত হয় গ্যাস সিলিন্ডার। এতে ১০ সদস্যের পরিবারের এক নারী ও শিশু ছাড়া আটজনই দগ্ধ হয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা রাসেল শিকদার জানান, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ওই বাসার কেউ রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতে গেলে পুরো বাসায় আগুন ধরে যায়। তাতে বাসায় থাকা আটজন দগ্ধ হন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে প্রথমে ছয়জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আরও দুজনকে বের করে আনেন। তাদের সবাইকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। আগুনে ওই বাসার প্রায় সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়।

ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, গ্যাসের পাইপলাইনের চুলার চাবি অন করা ছিল। ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় পুরো ঘরে গ্যাস জমে যায়। ভোরে চুলায় আগুন জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছে। ঘরের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। ঘরের আসবাবপত্রসহ সব মালামাল পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা গিয়ে আগুন নেভায়।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: