সিলেটে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত

সিলেটে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) ও পুলিশের সঙ্গে পৃথক দুটি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিশ্বনাথ উপজেলার মরমপুর সুড়িখাল এলাকা এবং গোলাপগঞ্জের কদুপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ ও র‌্যাবের দাবি, নিহত দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন ‘ডাকাত সরদার’ এবং একজন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’।

বিশ্বনাথ থানার ওসি শামিম মুসা বলেন, শুক্রবার রাত তিনটার দিকে মরমপুর সুড়ির খাল এলাকার সিলেট-বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর সড়কে ডাকাত দলের উপস্থিতির তথ্য পেয়ে অভিযান চালায় বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতেরা গুলি চালায়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

ওসি শামীম মুসা জানান, ডাকাত দলকে লক্ষ্য করে পুলিশ ১৫টি গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় থানা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বন্দুকযুদ্ধে আহত পুলিশের তিন সদস্য হলেন এসআই মিজানুর রহমান, কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাশ।

অন্যদিকে র‌্যাব সূত্র জানায়, রাতে সিলেটের গোলাপগঞ্জ কদুপুর এলাকায় একাধিক হত্যা মামলার আসামি ও ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ আলী হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় র‌্যাব-৯ এর একটি দল। এ সময় র‌্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সন্ত্রাসী বাহিনী। র‌্যাবের সদস্যরা পাল্টা গুলি ছুড়লে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে আলী হোসেনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে র‌্যাব।

র‌্যাব-৯–এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামিউল আলম বলেন, আলী হোসেন ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালালে র‌্যাব সদস্যের ওপর গুলি চালানো হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়।

বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: