তালেবানের শর্ত মেনেই আফগানিস্তান ছাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র

অবশেষে বহুল আকাঙ্খিত আফগান যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে। বহুদিন ধরেই আফগান যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক ইতি টানতে নানা রকম সম্মানজনক পন্থা খুঁজে ফিরছিল দখলদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সন্ত্রাসবাদের দোহায় দিয়ে ও তালেবান জঙ্গি নিধনের মিশন নিয়ে আফগানিস্তানে মার্কিনিদের প্রস্থান কি শেষমেষ সম্মানজনক হলো? ভূরাজনৈতিক গবেষকদের দাবি, আফগান যুদ্ধে মার্কিনিদের পরিণতি ভিয়েতনাম যুদ্ধেরই আরেক রুপ। সম্পুর্ন ব্যর্থ মার্কিনিরা।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম জানাচ্ছে, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সম্মানজনক উপায় খুঁজছিল ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের সেই খায়েশও পুরণ হলো না। বলা যায়, তালেবানের কাছে মাথা নত করেই আফগান ছাড়ছে মার্কিন বাহিনী।

সে আলোকে শনিবার কাতারের রাজধানী দোহায় মার্কিন প্রশাসন ও তালেবানের পক্ষে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তিতে মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন মাইক পম্পেও ও তালেবানের শীর্ষ এক নেতা। এই চুক্তির মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে চলমান দীর্ঘ ১৯ বছরের মার্কিন আগ্রাসন ও যুক্তরাষ্ট্রের কথিত সন্ত্রাস বিরোধী মিশনের পরিসমাপ্তি ঘটলো।

চুক্তি সূত্রে জানা গেছে, মার্কিন ও ন্যাটো বাহিনীর সকল সেনাকে আগামী ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান ত্যাগ করতে হবে বলে শর্ত দেয় তালেবান। আর মার্কিন প্রশাসন তালেবানের এই শর্ত মেনেই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।

এদিকে চুক্তি স্বাক্ষর শেষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, এই চুক্তির মাধ্যমে আফগানিস্তানে শান্তির সূচনা হল। আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র সব পক্ষের সহযোগিতা কামনা করে।

এর আগে তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি সই করতে কাতারের রাজধানী দোহায় পৌছান মাইক পম্পেও। বৈঠকে ৩১ সদস্যের তালেবানের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। সূত্র: রয়টার্স

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: