বাংলাদেশে আরাকান আর্মি ও আরসার ঘাঁটি থাকার অভিযোগ মিয়ানমারের

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের অধিকার সুরক্ষার নামে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে লড়ছে আরসা। আর ভিন্ন ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে আরাকান আর্মি। মিয়ানমারের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারা বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলে এক হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ করছে মায়ানমার।

সোমবার মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট অফিসের মুখপাত্র ইউ জাও সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।

আরসার সঙ্গে আরাকান আর্মির সম্পর্ক এবং বাংলাদেশে তাদের ঘাঁটি থাকার অভিযোগ করে জাও বলেন, গত বছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের রামুতে আরাকান আর্মি ও আরসার কর্মকর্তারা বৈঠক করেছে। সরকার বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানতে পেরেছে, সভায় মিয়ানমারের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে দুই গ্রুপের মধ্যে আলোচনা হয়। আমরা জানতে পেরেছি যে মায়ু পর্বতমালার পশ্চিম দিকের (বাংলাদেশ সীমান্তে) এলাকা নিয়ন্ত্রণ করবে আরসা, আর এর পূর্ব দিকের এলাকার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবে আরাকান আর্মি।

তিনি আরও বলেন, তারা বিগত কয়েক বছর ধরে মায়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা মুসলিমদের অধিকার রক্ষার কথা বলে আরসা ২০১৭ সালে রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি সীমান্ত চৌকিতে হামলা চালায়। গণহত্যার নৃশংস বাস্তবতা এড়াতে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। তিনি রোহিঙ্গাদের বাঙালি ও বাংলাদেশি বলে আখ্যা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে আরাকান আর্মির দুটি ঘাঁটি আর আরসার তিনটি ঘাঁটি রয়েছে। দুটি সংগঠনেরই মাদক বানিজ্য রয়েছে। জুলাই মাসে মিয়ানমারে হামলা চালানোর দাবি করেন। মিয়ানমার সরকার এসব হামলার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছে।

আরাকান আর্মির মুখপাত্র ইউ খাইঙ থুখা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, আরসার সঙ্গে তার সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা আমাদের নিজস্ব মিশনে রয়েছি। মিয়ানমার সরকার আরসার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কথা বলে আমাদের ভাবমূর্তি নস্যাতের চেষ্টা করছে।

মিয়ানমারের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশে আরসা বা অন্য কোনো ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠনের ঘাঁটি নেই। এমন অভিযোগের জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।

 

টাইমস/এসআর/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ