আশ্বাসের পরও রাস্তায় শ্রমিকরা

মালিকপক্ষের আশ্বাসের পরও চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলনে নেমেছেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাজধানীর মিরপুরের কালশি ২২ তলা গার্মেন্টসের সামনে পোশাক শ্রমিকরা জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। ঢাকার দক্ষিণখান ও সাভার থেকেও বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের চেষ্টার খবর পাওয়া গেছে।

ন্যূনতম মজুরি নিশ্চিতকরণ ও অপারেটর হেলপারের মধ্যে বেতন বৈষম্য দূর করার দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে তারা টানা চারদিন ধরে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, গাজীপুরে আন্দোলন করছেন।

দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করে গত ২৫ নভেম্বর গেজেট প্রকাশ করে সরকার। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে তা কার্যকর করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল সেখানে।

১ ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া পোশাক শ্রমিকদের বেতন কাঠামোতে কোন বৈষম্য বা অসঙ্গতি থেকে থাকলে চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই তা সংশোধন করা হবে। ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত গ্রেডিংয়েই বেতন পাবেন শ্রমিকরা। টানা তিন দিনের শ্রমিক বিক্ষোভ নিরসনে মঙ্গলবার শ্রম ভবনে আয়োজিত পোশাক শ্রমিক-মালিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে এ সমস্যা সমাধানে কমিটিও গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কমিটিতে গার্মেন্টস মালিকদের পাঁচ জন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের পাঁচজন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব থাকবেন। এই কমিটি চলতি মাসের মধ্যে পোশাক শ্রমিকদের জন্য সরকার ঘোষিত বেতন কাঠামোর কোনও গ্রেডের মধ্যে অসঙ্গতি থাকলে তা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন জমা দেবে।

এ বৈঠকে শ্রমিকদের আন্দোলন ছেড়ে নিজ নিজ কারখানার কাজে ফিরে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন নবনিযুক্ত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। 

বৈঠকে মজুরি কাঠামোর অসঙ্গতি ঠিক করার সিদ্ধান্তের পর শ্রমিক নেতাদের পক্ষে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান ইসমাইল এবং জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিনুল হকও শ্রমিকদের বুধবার থেকে কাজে যোগদানের অনুরোধ জানান।

 

টাইমস/এএস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ