করোনা: ভারতে এক গায়িকা থেকেই আক্রান্ত ৩৫০ জন

বলিউডের আলোচিত গায়িকা কণিকা কাপুর। কেবল ভারতেই প্রায় ৩৫০ মানুষকে তিনি করোনায় সংক্রমিত করেছেন। এমনকি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি ব্রিটেনের যুবরাজ চার্লসের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। সেই যুবরাজও এখন করোনা আক্রান্ত।

কনিকা কাপুর হচ্ছেন একজন ভারতীয় গায়িকা। তার গাওয়া ‘বেবি ডল’ গানের সঙ্গে কোমড় দুলিয়েছেন অভিনেত্রী সানি লিওন। সেই গানটি আজও বেশ জনপ্রিয়।

সম্প্রতি সেই কনিকা আবার নতুনভাবে আলোচনায় আসলো। কারণ তার করোনা পরীক্ষা এই পর্যন্ত ৪ বার করা হলো, কিন্তু প্রতিবারই তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তিনি করোনা আক্রান্ত নন, এই দাবি সত্ত্বেও তৃতীয় পরীক্ষাতেও পজিটিভ এসেছিল গায়িকা কণিকা কাপুরের।

কণিকা কাপুরের জন্ম ১৯৭৮ সালের ২১ আগস্ট, লক্ষ্ণৌতে। পড়াশোনা করেছেন লক্ষ্ণৌর লরেটো কনভেন্ট থেকে। ছোটবেলা থেকে গান নিয়ে ক্যারিয়ার তৈরির ইচ্ছে থাকলেও ১৯৯৭ সালে তার বিয়ে হয়ে যায় ব্যবসায়ী রাজ ছন্দকের সঙ্গে। চলে যান লন্ডন। মা হন তিন সন্তানের।

১৫ বছরের বিবাহিত জীবন শেষ হয় ২০১২ সালে। লন্ডন থেকে ফেরেন মুম্বাইয়ে। গায়িকা হওয়ার যে ইচ্ছে ছোটবেলা থেকে লালন করছিলেন, সেটা সম্ভব হয় কি না, যাচাই করতে।

মুম্বাইতে বাসা বাঁধার প্রথম বছরেই ব্রেক পান। একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করার সুযোগ হয় কনিকার। ‘জুগনি জি’ নামে মিউজিক ভিডিওর সেই ‘বেবি ডল’ গান অবশ্য সেসময় খুবই জনপ্রিয় হয়ে যায়। ফলে প্লেব্যাক সিঙ্গারদের প্রতিযোগিতার আঙিনায় পা রাখেন বেশ মাটি শক্ত করেই।

কনিকা বলিউডে নজর কাড়লেন দু’বছর বাদে, ২০১৪ সালে। চমকদার গায়কির জন্য জনপ্রিয় তো হলেনই, সঙ্গে সমালোচকরাও তার তারিফ করলেন একযোগে। পেলেন একাধিক পুরস্কার, সেই বছর ‘ফিল্মফেয়ার’র ‘বেস্ট ফিমেল প্লেব্যাক সিঙ্গার’ শিরোপা ঘরে তুললেন।

পরের বছরগুলিতে তার গাওয়া হিন্দি ছবির গানগুলি- ‘রাগিনি এমএমএস’ ছাড়াও ২০১৪ সালেই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবির ‘কমলি’ গানটি চার্টবাস্টার হয়েছিল।

এদিকে ২০১৫ সালে ‘এক পহেলি লীলা’ ছবির ‘দেশি লুক’, ‘অল ইজ ওয়েল’ ছবির ‘নাচান পারাঠে’, ‘দিলওয়ালে’ ছবির ‘প্রেমিকা’ পরপর হিট হয়েছে।

কনিকা সম্প্রতি বেশি আলোচনায় আসার কারণ, গত কিছুদিন আগে তিনি লন্ডন থেকে ফিরে এসে অন্তত তিনটি পার্টিতে গিয়েছিলেন। অবশ্য কণিকা এই কথা স্বীকার করেননি। তার নামে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এরপর থেকে পুরো বলিউডজুড়ে আলোচনায় কনিকা কাপুর।

এদিকে কণিকার বর্তমান রিপোর্টে উদ্বিগ্ন গোটা পরিবার। তাদের দাবি, আমাদের এখন মনে হচ্ছে কণিকা চিকিৎসায় এখন সাড়া দিচ্ছেন না। দেশের এই লকডাউনের পরিস্থিতিতে আমরা যে কণিকাকে আরো ভালো চিকিৎসার জন্য অন্য কোথাও নিয়ে যাব সেটাও পারছি না। এখন আমরা শুধু কণিকার জন্য প্রার্থনা করতে পারি। যদিও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন এই মুহূর্তে কণিকা অনেকটাই ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ লন্ডন থেকে দেশে ফেরেন গায়িকা কণিকা কাপুর। করোনা পরীক্ষা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ২০ মার্চ কণিকা কাপুরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি এই মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্রাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিকেল সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

 

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ