কৃষকের লোকসান কমাতে সরাসরি ক্ষেত থেকে সবজি কিনছে সেনাবাহিনী

করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে ঘরবন্দী রয়েছে মানুষ। বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার গণপরিবহন। পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক চলাচল করলেও সে সংখ্যাও খুবই কম। ফলে পাইকার ও পরিবহন সংকটের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাওয়া বন্ধ রয়েছে যশোরের সবজি। এতে ভরা মৌসুমে উৎপাদিত পণ্য ক্ষেতেই নষ্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে যশোর সেনানিবাস। কৃষকদের লোকসান ঠেকাতে ন্যায্যমূল্যে সরাসরি মাঠ থেকে সবজি ক্রয় শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যশোর ৫৫ পদাতিক ডিভিশন। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে এ ক্রয় কার্যক্রম।

জানা গেছে, সেনাপ্রধানের অনুপ্রেরণায় যশোর সেনানিবাসের ৪০টি ইউনিট আগামী এক মাস এ পদ্ধতিতে তাদের দৈনন্দিন খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় সবজি ক্রয় করবে।

যশোর সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ফাইজুল আরিফ বলেন, আমরা বিশ্বাস করি কৃষক আমাদের দেশের অর্থনীতির প্রাণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষকরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। কৃষকের মাঠে ফসল আছে কিন্তু তা তোলার জন্য লোক পাচ্ছে না। বাজারে নিয়ে সবজি বিক্রি করবে সেখানে লোক পাচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে সেনাপ্রধানের অনুপ্রেরণায় ক্ষেত থেকে সবজি কেনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন থেকে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনে কর্মরত সৈনিকদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় সব শাক-সবজি আমরা প্রান্তিক কৃষকদের ক্ষেত থেকে ও গ্রামীণ ক্ষুদ্র বাজার থেকে কেনা হবে। এভাবে আগামী এক মাস সবজি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে করে কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত হয় এবং করোনার প্রভাব থেকে কিছুটা হলেও তারা মুক্ত থাকতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করতে চাই। যাতে তারা চাষাবাদের প্রতি আগ্রহ না হারায়। আমাদের বিশ্বাস অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও একই পদ্ধতিতে সবজি ক্রয় করতে এগিয়ে আসবে।

এদিকে সেনাবাহিনীর এমন মানবিক উদ্যোগে সন্তুষ্ট চাষিরা। শাজাহান আলী নামে এক কৃষক বলেন, বাজারে ক্রেতা ও পাইকার কম। ফলে সবজি কাঙ্ক্ষিত মূল্যে ও পরিমাণে বিক্রি হচ্ছে না। এ অবস্থায় আমাদের সবজি মাঠ থেকে সেনাসদস্যরা নিয়ে যাচ্ছে এতে আমরা লাভবান হচ্ছি।

সামাদ হোসেন নামে অপর এক কৃষক বলেন, সেনাবাহিনীর মত অন্যান্য সংস্থাগুলোও যদি এগিয়ে আসতো তাহলে করোনার প্রভাবে লোকসান কিছুটা কম হতো।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: