ফ্ল্যাটে পরকীয়ায় ধরা খেলেন ডাক্তার, এবার ধর্ষণ মামলা!

ফ্ল্যাট বাসায় ডাক্তারের সঙ্গে পরকীয়া প্রেম করতে গিয়ে স্থানীয় যুবকদের হাতে ধরা খেয়েছেন এক নারী। পরে ওই ডাক্তারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই নারী। তার অভিযোগ, ওই ডাক্তার তাকে প্রায়ই চিকিৎসার নামে ফ্ল্যাটে নিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতেন। অবশেষে এলাকার জনগণের চোখে পড়েন তারা।

এ ঘটনায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী। ঘটনা জানাজানির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় উঠে। পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা সিভিল সার্জন রোববার ডা. মোমিন উদ্দিনকে আজমিরিগঞ্জ বদলী করেন।

জানা গেছে, চুনারুঘাট হাসপাতালের আরএমও ডা. মোমিনকে বৃহস্পতিবার রাতে চুনারুঘাট পৌর শহরের উত্তর বাজারের একটি ফ্ল্যাট বাসায় এক নারীসহ আটক করে স্থানীয় যুবকরা। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পৌর কমিশনার আ. হান্নানের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়। শনিবার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় বিষয়টি ফেসবুকে ভাইরাল হবার পর সেই নারী চুনারুঘাট থানায় ডাক্তার মোমিন উদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শনিবার রাতে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। তবে ধরা খাওয়ার দিন তিনি ধর্ষিত হননি বলে মামলায় উল্লেখ করেন। ওই নারী জানান, এর আগে আমাকে কয়েক বার ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার দিন স্থানীয় লোকজন আসায় আমি বেচেঁ যাই।

এলাকাবাসী জানান, হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার মোমিনের সাথে প্রবাসীর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম চলছিল। এলাকাবাসী বার কয়েক তাকে বারণ করার পরও মোমিন সেই নিষেধ না মেনে ওই নারীর সাথে পরকীয়া চালিয়ে যান। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ডা. মোমিন পৌর শহরে অবস্থিত ওই বাসায় গেলে এলাকাবাসী তাকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে গণপিটুনি দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মোজাম্মেল হোসেন জানান, বিষয়টির সুরাহা করতে জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান রোববার বিকেলে ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরীকে জেলার ভাটি এলাকা আজমিরিগঞ্জে বদলীর আদেশ দিয়েছেন।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on: