শ্বশুরবাড়িতে প্রবাসফেরত বেকার স্বামীর ছুরিকাঘাতে কলেজ ছাত্রী তানজিনা আক্তার রিতু নিহত হয়েছেন। এসময় বাধা দেয়ায় স্ত্রী ও শ্যালককেও ছুরিকাঘাত করেন ওই ঘাতক স্বামী। পরে এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার ইফতারের ঠিক আগ মুহূর্তে ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া এলাকায়। ঘাতক জামাই আল মামুন মোহনের বাড়ি লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলায়। নিহত রিতু গৃদৃকালিন্দিয়া হাজেরা হাসমত বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রী। গুরুতর আহত শাশুড়ি পারভীন আক্তার এবং শ্যালক প্রান্তকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিয়ের সময় কিনে দেয়া স্ত্রীর সব গহনা বিক্রি করে দিশেহারা ছিলেন স্বামী মামুন।
পুলিশ সূত্র জানায়, আড়াই বছর পুর্বে রায়পুর উপজেলার শায়েস্তানগর গ্রামের মনতাজ মাস্টারের ছেলে আল মামুন মোহন ফরিদগঞ্জের উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া গ্রামের খাঁ বাড়ির সেলিম খানের মেয়ে তানজিনা আক্তারকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সৌদি আরবে গেলেও গত দেড় বছর পুর্বে আল মামুন মোহন সৌদি আরব থেকে ফেরত আসে। এরপর থেকে এলাকায় বেকার অবস্থায় রয়েছে। ১৩ মে বুধবার বিকালে সে তার নিজ বাড়ি রায়পুর থেকে শশুড় বাড়ি গৃদকালিন্দিয়া আসে। ইফতারের পুর্বে মূর্হূতে স্ত্রী তানজিনা আক্তার রিতুর সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে রিতুকে উপর্যুপরি ছুরিকাহত করে। এক পর্যায়ে মেয়ের আর্তচিৎকারে মা পারভীন আক্তার ও ভাই প্রান্ত এগিয়ে আসলে তাদেরকেও ছুরিকাহত করে মোহন। এসময় সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আশেপাশের লোকজন টের পেয়ে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এলাকার লোকজন দ্রুত রিতু , তার মাকে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রিতুকে মৃত ঘোষণা করে।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের এস আই কাজী মো: জাকারিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
টাইমস/জেকে