বিয়ের পর পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর অভিনব কৌশল করেছেন এক গৃহবধূ। বিয়ের খবর গোপন করে স্বামীর অগোচরে এক ছাত্রের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। পরে নিজেকে খুনের নাটক সাজিয়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে যায় সে। পরে শ্বশুরবাড়িতে জানায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ খুঁজে নিতে। এঘটনার পর ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িসহ তার বাবার বাড়িতে শোকের মাতম শুরু হয়। অন্যদিকে সে তার পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে দিন কাটাতে থাকে।
অবশেষে সেই গৃহবধূকে পরকীয়া প্রেমিকসহ ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এই তথ্য জানান।
প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, ৬/৭ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড়াইগ্রামের গৃহবধূর সাথে ময়মনসিংহের বাসিন্দা আবিদের পরিচয় হয়। বিবাহিত হলেও তা গোপন রেখে আবিদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ওই গৃহবধূ। একপর্যায়ে তারা দু’জন পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। পালানোর ৩/৪ দিন আগে গৃহবধূ নিজেই তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন ভঙ্গিমায় কয়েকটি ছবি তুলে মোবাইলে এডিট করে রাখে। পরে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবার পর ছবিগুলো তার স্বামীর ভাইয়ের স্ত্রীর (জা) মোবাইলে পাঠায়। সেই সাথে একটি ক্ষুদে বার্তায় লেখে ‘তৃপ্তিকে (ছদ্মনাম) হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ খুঁজে নে’। এতে করে তার বাবার বাড়ি ও তার স্বামীর পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। সবাই আতংকগ্রস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে গত ১১ মে তার স্বামী নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলার সূত্র ধরে নাটোর পুলিশের একটি চৌকষ দল তথ্যপ্রযুক্তি এবং ময়মনসিংহ পুলিশের সহায়তায় কথিত ভিকটিম এবং তার প্রেমিক আবিদকে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। এ সময় নিজেকে সবার কাছ থেকে আড়াল করতেই খুনের নাটক সাজিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে ওই গৃহবধূ। পরে তাদের দু’জনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
টাইমস/জেকে