খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিখুশি সেই ছেলেটির আত্মহত্যা!

তপু মজুমদার। পড়াশোনা করতেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ১৪ তম ব্যাচের ওই ছাত্র ক্যাম্পাসে সবসময় হাসিখুশি থাকতেন। মেধাবী ওই ছাত্রের সিজিপিএ ৩.৭ এর উপরে ছিল। সর্বশেষ তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিখুশি সেই ছেলেটিও আত্মহত্যার মত ভয়ংকর পথ বেছে নিয়েছেন। রোববার রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন। রাজধানীর দারুস সালামের একটি বাসা থেকে সোমবার তপু মজুমদারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের লেকচারার।

পুলিশের ধারণা, তপু মজুমদার আত্মহত্যা করেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে আসল ঘটনা জানা যাবে বলে জানায় পুলিশ।

রাজধানীর দারুস সালাম থানার উপ-পরিদশর্ক (এসআই) আব্দুল সালাম জানান, সকালে খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে এক শিক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফ্যানের সঙ্গে রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল লাশটি। তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি তপু মজুমদারের বাবার নাম গৌরাঙ্গ মজুমদার। তার বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালীতে। গাবতলীর ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষক ছিলেন তপু মজুমদার। তিনি কিছুটা মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ কারণেই রোববার (১৪ জুন) রাত ১টা থেকে গতকাল সকাল ৭টার মধ্যে ওই বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জানা গেছে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রাক্তন এ শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শিক্ষকতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি কুয়েটের ২০১৪ ব্যাচের সিভিল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।

সহপাঠীরা জানিয়েছে, ক্যাম্পাস লাইফে তপুকে কেউ কোনোদিনই হাসিমুখ ছাড়া দেখেনি। সবসময় তিনি বন্ধুদের মাতিয়ে রাখতেন। হাসিখুশি এই ছেলেটির এভাবে চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারছে না।

 

টাইমস/জেকে

Share this news on:

সর্বশেষ