করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। তার নাম রফিকুল হায়দার (৫৪)। বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল হাসপাতালে মারা যান তিনি। তিনি ওই হাসপাতালেই ডায়বেটোলজিস্ট ও এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের মোহাম্মদ সুফিয়ানের ছেলে রফিকুল হায়দার সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। আওয়ামী লীগের প্রয়াত সাংসদ ওবাইদুল হকের ভাতিজা ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কমর্রত ছিলেন। বুধবার রাতেই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে রায়েরবাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
হাসপাতালটির পরিচালক জাহিদুর রহমান জানান, শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের বিভিন্ন উপসর্গ থাকায় চিকিৎসক রফিকুল রোববার তাদের হাসপাতালেই পরীক্ষা করান। কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর তিনি ঢাকার মিপুরের পল্লবীর বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বুধবার রাতে রফিকুলের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রফিকুল হায়দারের ছোট ভাই ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি রশিদুল হায়দার জাবেদ জানান, চার-পাঁচ দিন ধরে তার মেজ ভাই (রফিকুল হায়দার) জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি ঢাকার মিরপুরের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। সোমবার তার করোনা শনাক্ত হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে মিরপুরের বাসা থেকে এনাম মেডিকেলে নেওয়া হয়। তখনো তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন। নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে ঢোকানোর পর তার পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে দেশে ৪০ জনের বেশি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।
বিএমএর তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত ৩ হাজার ২৭৪ চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসক ১ হাজার ৩৫, নার্স ৮৮৫ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ১ হাজার ৩৫৪ জন।
টাইমস/এইচইউ