হীরামনি হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ময়মনসিংহের ভালুকায় ছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের পর হাত-পা বেঁধে নদীতে নিক্ষেপের ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধারের পর ঘাতক তার অপকর্মের কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুই জনকে আটক করেছে। তারা বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,কানিজ ফাতেমা নামে ওই ছাত্রী উপজেলার মামারিশপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে। তিনি হালিমুন নেছা চৌধুরানী মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করে। এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশের দুই দিন পর নানার বাড়ি ভালুকা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। হত্যার ১১দিন পর রোববার (১৪জুন) খীরু নদী থেকে পুলিশ তার অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুন রাতে কানিজ ফাতেমা ভালুকা বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে ভালুকা পৌরসভার ০৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জহির হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২৩) ও আইয়ুব আলী শেখের ছেলে জামাল হোসেন (২৫) তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে কানিজ ফাতেমা চিৎকার শুরু করলে মনির ও জামালসহ অন্যরা তার গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে হাত-পা বেঁধে ক্ষিরু নদীতে ফেলে দেয়। রোববার রাতে ওই ছাত্রীর বাবা ওমর ফারুক খবর পেয়ে থানায় এসে নিহতের পরনে কাপড় চোপড় দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
এদিকে ওই ঘটনায় হত্যা মামলা করা হলে ভালুকা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ খোরশেদ আলম, বুধবার রাতে কাঁঠালী গ্রাম থেকে মনির হোসেন ও মোঃ জামাল হোসেনকে গ্রেফতার করেন। পরে ওই আসামিরা ময়মনসিংহ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার ঘটনায় স্বীকরোক্তি দেন।
টাইমস/জেকে