চীনে ‘কুকুর ভোজন’ নাকি করোনা?

মহামারী করোনাভাইরাসকে অনেকেই বলছেন ‘চায়না ভাইরাস’। চীনের উহান শহরের একটি বন্যপ্রাণীর বাজার থেকেই মূলত প্রাণঘাতী এ ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বব্যাপী। করোনার সেই তাণ্ডবে এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ মারা গেছেন। চীনের উহান শহরে করোনা সংক্রমণের খবর এখন কমই পাওয়া যাচ্ছে।

তবে রাজধানী শহর বেইজিংয়ে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। দ্বিতীয় দফা সংক্রমণে বেইজিংয়ের একাংশ লকডাউন করে দিয়েছে চীনা সরকার।

এমন পরিস্থিতির মাঝেই চীন নতুন খবর জন্ম দিয়েছে। চীনের বিভিন্ন শহরের আবারও কুকুর খাওয়ার ধুম পড়েছে। ২১ জুন থেকে শুরু হয়েছে কুকুর খাওয়ার উৎসব। এ উৎসব চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত।

সাউথ চায়না মর্ণিং পোস্ট জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউলিন শহরে প্রতি বছর ১০ দিনব্যাপী ‘কুকুর ভোজন’ উৎসবে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। উৎসবে আগতরা নানা ধরণের কুকুরের মাংসের স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন ভাবে উপভোগ করেন।

কুকুর খাওয়ার পাশাপাশি উৎসবে কুকুর বেচাকেনাও জমে ওঠে দেদার। খাঁচায় ভরে বিভিন্ন বয়সের ও আকারের কুকুর নিয়ে পসরা সাঁজান বিক্রেতারা।

এদিকে করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কুকুর ভোজন উৎসব আয়োজন করায় চীনে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দেশটিতে পশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির মুখপাত্র পিটার লি বলেন, প্রাণীদের কথা না ভাবলেও চীনাদের নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবা উচিত। আর তাই, কুকুর ভোজনের মত উৎসব পরিহার করা উচিত সবার।

পিটার লি জানান, চীনে প্রতি বছর এক কোটি কুকুর ও ৪০ লাখ বিড়াল ব্যবসায়িক কারণে হত্যা করা হয়।

এদিকে চীনে কুকুর ভোজন উৎসব আয়োজনের ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে চীনের প্রথম শহর হিসেবে কুকুর খাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সিনজেন শহর প্রশাসন। কিন্তু ইউলিন শহরে মহাসমারোহে কুকুর ভোজন উৎসব শুরু হয়েছে।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on: