‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ নির্দেশে সাহেদের সঙ্গে চুক্তি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতারণা নিয়ে সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলেছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের’ নির্দেশে মোহাম্মদ সাহেদের ওই হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন তারা।

করোনা পরীক্ষার হাজারো মনগড়া রিপোর্ট দেয়া জেকেজি হেলথ কেয়ারের (জেকেজি) বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, প্রতিষ্ঠানটি এভাবে প্রতারণা করবে তা তাদের ধারণায় ছিল না। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ব্যাখ্যা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর কবিরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ইদানিং কোনো কোনো স্বার্থান্বেষী মহল কল্পিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুনাম নষ্ট করার প্রয়াস চালাচ্ছেন।

“রিজেন্ট হাসপাতালের প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী মো. সাহেদ করিমের বিভিন্ন প্রতারণার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আগে অবহিত ছিল না। দেশে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেলে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল কোভিড রোগী ভর্তি করতে চাইছিল না। এ অবস্থায় রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুরে অবস্থিত ওই নামের দুটি ক্লিনিককে কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ডেডিকেটেড করার আগ্রহ প্রকাশ করে।

“মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল বিভাগ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেয়। ক্লিনিক দুটি পরিদর্শনের সময় চিকিৎসার উপযুক্ত পরিবেশ দেখলেও লাইসেন্স নবায়ন ছিল না। বেসরকারি পর্যায়ে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের চিকিৎসায় অন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোকেও উৎসাহ দেয়ার লক্ষ্যে লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে চুক্তি হয়।”

এই ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ’ বলতে কাকে বুঝিয়েছেন জানতে চাইলে ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে এখানে বিশেষ কাউকে বোঝানো হয়নি। পুরো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ই আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “২১ মার্চ তারিখে এই সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের পূর্বে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পরিচয় থাকা তো দূরের কথা টক শো ছাড়া কখনও মো. সাহেদকে দেখেননি। তবে সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরের পর বেশ কয়েকবার তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসেছিলেন।"

 

টাইমস/জিএস

Share this news on: