প্রেমিকাকে ধর্ষণ, প্রাইভেট ভার্সিটি ছাত্রের দেড় লাখ টাকা জরিমানা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রেমিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রাইভেট ভার্সিটির এক ছাত্রকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসার জন্য সালিশের মাধ্যমে ওই জরিমানা করা হয়েছে। তবে সালিশের রায় না মেনে ওই ছাত্রী থানায় মামলা করেছেন। কসবা থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার মামলাটি নথিভুক্ত করেছে।

জানা গেছে, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজ মিয়ার ছেলে সাইফুলের সঙ্গে স্কুলে পড়াশোনার সময় এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বর্তমানে সাইফুল ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। আর ওই ছাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজে পড়ছেন। অভিযোগ উঠেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন সাইফুল। সম্প্রতি ওই ছাত্রী সাইফুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। এ অবস্থায় ওই ছাত্রী গত ২ জুলাই সাইফুলের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দেন।

বিষয়টি মীমাংসায় বুধবার গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীরসহ স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ করেন। সালিশে সাইফুলকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু ওই ছাত্রীর পরিবার জরিমানার রায় মেনে নেয়নি। এরপর বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর দেয়া ধর্ষণের অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে পুলিশ।

ওই ছাত্রীর অভিযোগ, আমার পরিবারকে চাপ দিয়ে সালিশ বৈঠক বসানো হয়। সালিশে আমি কথা বলতে চাইলে আমাকে গালমন্দ করা হয়। সাইফুল আমার সঙ্গে যা করেছে, এর সমাধান বিয়ে নয়তো তার শাস্তি। আমি সালিশের রায় মানি না।

গোপীনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মান্নান জাহাঙ্গীর জানান, শতাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তি সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে জুড়ি বোর্ডেই উপস্থিত ছিলেন ২৬ জন। ওই ছাত্রী যে ধর্ষিত হয়েছে তার কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি। বিষয়টি সাজানো বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

কসবা থানার ওসি মো. লোকমান হোসেন বলেন, ওই ছাত্রীর অভিযোগটি নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত সাইফুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: