তদন্তে বেরিয়ে আসছে পাপলুর "অঢেল" অবৈধ সম্পদের তথ্য

মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে আটক রয়েছেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। এই অভিযোগে দেশটিতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান। গ্রেপ্তারের পর থেকে দেশেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুদক ও সিআইডি। বিদেশে অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগ তদন্তে মাঠে রয়েছে তারা। পাপুলের অবৈধ সম্পদের উৎস খুঁজতে গিয়ে সন্ধানে বের হয়ে আসছে একের পর এক অবৈধ সম্পদের তথ্য।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর কূটনৈতিক পাড়ায় তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলামের নামে কেনা একটি বাড়ি রয়েছে। বিলাসবহুল ওই বাড়িটিতে থাকেন দুজন কাজের মেয়ে। একইভাবে গুলশান-১ এর বাড়িটিতেও রয়েছে স্ত্রী ও মেয়ের নামে ৩ হাজার স্কয়ার ফিটের দুটি ফ্ল্যাট। রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৬ তলা বাড়ি। এছাড়াও পাপুলের নিজ সংসদীয় এলাকা ও রায়পুরে রয়েছে অঢেল সম্পদ।

তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, ৫০ কোটি টাকার শেয়ার কিনে পাপুল হয়েছেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের পরিচালক। এই ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশে ব্যবসার আড়ালে ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন এবং ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা হুন্ডি ও বিভিন্ন ব্যক্তির ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে পাচার করেছেন। পরিচালক হয়েও বেআইনীভাবে ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে ১ হাজার ২শ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করে সুবিধাভোগ করেন তিনি। পাপুলের অবর্তমানেই এসব অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক।

পাপুলের ব্যাপারে কোনো অভিযোগের তদন্ত করতে কোনো বাধা থাকবে না বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাড. খুরশিদ আলম খান।

সিআইডির ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, মানবপাচার নিয়ে তো মামলা হয়েছে, এখন অর্থপাচার নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে। উৎস পেলেই সিআইডি মামলা করবে।

এর আগে গত ৬ জুন মানবপাচার, ভিসা জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে পাপুলকে গ্রেপ্তার করে কুয়েতের পুলিশ। পরে ১৭ জুন মানব পাচারের অভিযোগে কুয়েতের ৫০ লাখ কুয়েতি দিনারের হিসাবগুলো জব্দ করেছে দেশটির সরকার। যার বাংলাদেশি অর্থমূল্য ১৩৮ কোটি টাকা।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on:

সর্বশেষ