১৯১৪ সালে চার জন রুশ অনুবাদক ‘গীতাঞ্জলী’ অনুবাদ করেন: শুভজিৎ চৌধুরী

অধ্যাপক শুভজিৎ চৌধুরী বলেন, “১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর পরই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতাঞ্জলী’ রুশ ভাষায় অনূদিত হয়েছিল। তবে খুব সম্ভবত রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পাওয়ার আগেই `রুসকিয়ে ভেদোমস্তি' পত্রিকার এক সাংবাদিক ইভান স্লোভস্কি ‘গীতাঞ্জলী’ থেকে বেশ কয়েকটি কবিতার রুশ অনুবাদ করেছিলেন।”

রবিবার রবীন্দ্রনাথ স্মরণে `রুশ অনুবাদে রবীন্দ্রনাথ’ শিরোনামে এক ওয়েব আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টাইমসের ইউটিউব ও ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন নাবিল জাহাঙ্গির। 

তিনি আরও বলেন, শুধুমাত্র ১৯১৩ থেকে ১৯১৫ সালের মধ্যে, এই দুই বছরে ৬ বার রুশ ভাষায় ‘গীতাঞ্জলী’ অনূদিত হয়েছে। নিশ্চয় চাহিদা ছিল, পাঠক যারা তারা পড়তে চাইছিলেন। এর মধ্যে শুধুমাত্র ১৯১৪ সালেই চার জন রুশ অনুবাদক ‘গীতাঞ্জলী’ অনুবাদ করেন। এসব অনুবাদের মধ্যে নিকোলাই পুশেশনিকভের করা অনুবাদটি সব থেকে বেশি সাড়া জাগিয়েছিল।

গীতাঞ্জলী অনুবাদের পর থেকে একের পর এক বিভিন্ন গল্প, কবিতা, গান প্রভৃতি অনুবাদ হতে শুরু করে। ১৯২৩-২৭ এর মধ্যে রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পের ৭টি পৃথক সংকলন রুশ ভাষায় অনুবাদ করা হয়। তবে রুশ ভাষায় এসব অনুবাদের মধ্যে বেশির ভাগই করা হয়েছে ইংরেজী ভাষা থেকে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরাসরি বাংলা থেকেও অনুবাদ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

তিনি জানান, ১৯২৩ সালে রাশিয়ার পেট্রোগাদ থেকে রবীন্দ্রনাথের গল্পের অনুবাদ সংকলন ‘নোভিয়ে রাসকাজি’ (নতুন গল্পগুচ্ছ) প্রকাশিত হয়। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বহু সাহিত্যকর্ম রুশ ভাষায় অনূদিত হয়েছে।

ওয়েব আলোচনায় শুভজিৎ চৌধুরী বেশ কয়েকটি রুশ ভাষায় অনূদিত রবীন্দ্র সংগীত পরিবেশন করেছেন। এসময় তার অনুবাদ করা বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের দুই লাইন তিনি রুশ ভাষায় গেয়ে শোনান।

 

টাইমস/এনজে

Share this news on: