নির্মম নির্যাতনে ইডেন কলেজ ছাত্রীকে হত্যার অভিযোগ

ইডেন কলেজের ছাত্রী তানজিলা রহমান আয়নাকে নির্যাতনের পর বিষপান করিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি ৯ মাসের অন্ত:সত্ত্বা ছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ থানার পুলিশ ওই ছাত্রীর স্বামী জহিরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেলা কারাগারে প্রেরণ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৮ আগস্ট (শনিবার) সকাল ১১টায় উপজেলার ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাউধের খিল গ্রামের মোল্যা বাড়িতে। জহিরুল ইসলাম জনি মোল্যা বাড়ির মো. মহসিন মোল্যার বড় ছেলে।

এ ঘটনায় ইডেন ছাত্রী তানজিলার বড় ভাই সাইফুর রহমান বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তানজিলা আক্তার আয়না ঢাকা ইডেন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

জানা যায়, রামগঞ্জ উপজেলার ২নং নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাউধেরখিল গ্রামের মোল্যা বাড়ির মহসিনের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম জনির সাথে ২০১৬ সালে বরিশাল সদর কাউনিয়া থানার পান্থপথ নাবিকনীড়ের ভাটিখানা গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে তানজিলা আক্তারের বিয়ে হয়। পরিবারের লোকজন তানজিলার আগের আরেকটি বিয়ের সংবাদ গোপন রেখে জনির সাথে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে। পরে জনির মাধ্যমে বিষয়টা জানাজানি হলে দুই পরিবারের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। পরে দুই পরিবারের দফায় দফায় বৈঠকের পর তানজিলাকে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ সাউধেরখিল গ্রামে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসে। এরই ফাঁকে তানজিলা অন্ত:সত্ত্বা হয়ে পড়েন। শুরু হয় তার উপর অমানুষিক নির্যাতন। তানজিলা তার পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানালেও কোন কাজ হয়নি। গত ৮ আগস্ট তাকে নির্যাতনে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তানজিলার ভাই বোনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে বরিশাল থেকে রামগঞ্জ এসে স্বামী জহিরুল ইসলাম ও তার বাবা, মা, চাচী এবং ছোট ভাইকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

তানজিলার ভাই সাইফুর রহমান বলেন, আমার বোনকে জনি ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। বেশ কয়েকমাস থেকে তানজিলার স্বামী আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমার বোন মাঝে মাঝে গোপনে আমাদের সাথে কথা বলতো। শুক্রবার রাতেও সে আমাদের সাথে কথা বলেছে। এরপর শনিবার সকালে তার স্বামী জনি ফোন করে আমাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

রামগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, গৃহবধূ তানজিলা মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে। স্বামী জহিরুল ইসলাম জনিকে গ্রেপ্তার করে লক্ষ্মীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

টাইমস/জেকে/এইচইউ

Share this news on: