২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পছন্দের কলেজ পেয়েছে ১২ লাখ ৭৭ হাজার ৭২১ জন শিক্ষার্থী। আবেদন করেও কোনো কলেজ পায়নি ৬৪ হাজার ৯৭২ জন। আর সারাদেশের ১৪৮টি কলেজে কোনো আবেদনই করেনি শিক্ষার্থীরা।
প্রথম ধাপে সারাদেশে মোট ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৩ জন আবেদন করেছিল। শুধু ঢাকা বোর্ডে আবেদন করেছিল তিন লাখ ৩৯১ জন। তাদের মধ্যে পছন্দের কলেজ পেয়েছে ২ লাখ ৮৮ হাজার ২৯৮ জন। আবেদন করেও ঢাকা বোর্ডে কোনো কলেজ পায়নি ১২ হাজার ৯৩ জন। মোট ২ দশমিক ০৫ শতাংশ শিক্ষার্থী আবেদন করেও কোনো কলেজ পায়নি।
মঙ্গলবার প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ শেষে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। কলেজে ভর্তির ওয়েবসাইটে http://www.xiclassadmission.gov.bd/ এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ জানান, যারা পছন্দের কলেজ পায়নি তারা যেন পছন্দের সংখ্যা বাড়ায়। তারা যদি ১০টা কলেজ পছন্দ করে, তাহলে কলেজ পেতে কোনো সমস্যা হবে না। পর্যাপ্ত আসন রয়েছে। সবাই ভর্তি হতে পারবে।
গত ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইন ভর্তি আবেদন। প্রথম ধাপে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ ৯ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২০ আগস্ট শেষ হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৩১ আগস্ট থেকে চলবে ২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুসারে ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ হবে ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে একই দিন (৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টায়।
দ্বিতীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সিলেকশন নিশ্চয়ন ৫ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শিক্ষার্থী সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে ২য় পর্যায়ের সিলেকশন এবং আবেদন বাতিল হবে।
আর তৃতীয় পর্যায়ের আবেদন গ্রহণ চলবে ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর। পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল এবং ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ হবে ১০ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়।
তৃতীয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে ১১ থেকে ১২ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত। সিলেকশন নিশ্চয়ন না করলে আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে আর কলেজভিত্তিক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হবে ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টার দিকে। ভর্তি চলবে ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সহায়তায় এবারও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কলেজ ও মাদ্রাসার ভর্তির কাজটি হচ্ছে।
গত ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশিত হয়। এতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে ১৬ লাখ ৯০ হাজার ৫২৩ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন পরীক্ষার্থী। যারা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অপেক্ষা করছেন।
টাইমস/এইচইউ