গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে বাইক র্যালি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ফারহানা আফরোজ ‘নববধু’ নন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফারহানাকে নববধূ হিসেবে প্রচার করা হলেও মুলত: তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছে তার। রয়েছে দেড় মাস বয়সী ছেলে সন্তান।
কিন্তু গত ১৪ আগস্ট গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফারহানার বিয়ে নিয়ে নতুন করে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ফারহানা নিজেও গণমাধ্যমের কাছে এ বিষয়টি পরিস্কার করেননি। ফলে জটিলতা বেড়েছেই।
জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট গাঁয়ে হলুদের সাঁজগোঁজ ও অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাইক র্যালি নিয়ে গণমাধ্যমে ফারহানা বলেন, আমি ঢাকাতে থাকি। ওখানে অনেক বিয়েতে দেখেছি, বর নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে বন্ধুবান্ধব নিয়ে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যান। আমিও মোটরসাইকেল চালাতে পারি। আমারও ইচ্ছে হয়েছে এমন একটা কিছু করার। আর সেই চিন্তা থেকেই আমি ইচ্ছেপূরণ করেছি। বন্ধু-বান্ধব নিয়ে একটু হইচই ও আনন্দ করেছি।
এদিকে ফারহানার ওই বক্তব্যে অন্যদের মতো করে বিয়ে করার ইচ্ছার কথা জানানোয় তাকে ‘নববধূ’ হিসেবে গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে তিনি ‘নববধূ’ নন। বিষয়টি ফারাহানার ঘনিষ্ঠজনরা নিশ্চিত করেছেন।
ফারহানার বান্ধবী নওরীন গণমাধ্যমকে বলেন, ফারহানা খুব ভালো মনের মানুষ। সে অত্যন্ত মিশুক এবং আত্মনির্ভরশীল একজন নারী। সবার উপকার করতে ভালোবাসে ফারহানা। যেহেতু ফারহানা বাইক চালাতে পারে, তাই শখের বসে ওই নিজের বিয়েতে বাইক রাইড করতে চেয়েছে। কিন্তু ও চাইনি যে ব্যাপারটা শো-আপ হোক।
ফারহানার এই বান্ধবী আরও বলেন, ওর (ফারহানা) তো তিন বছর আগে বিয়ে হয়েছে। এক বাচ্চার মা সে। গত ৩০ জুন ওর বাচ্চা হয়েছে। বিয়ের সময় অনুষ্ঠান করতে পারেনি- কেবল কলমা হয়েছিল। তবে ধুমধাম করে বিয়ের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা ছিল। এতদিন পর বিয়ের অনুষ্ঠান করছে, সেখানে সে তার শখ পূরণ করেছে তাতে-অন্যদের সমস্যাটা কোথায় আমরা জানি না।
এ ব্যাপারে ফারহানার বন্ধু তরু খান বলেন, কলেজে পড়ার সময় থেকে ফারহানা আমার বন্ধু। তখন থেকেই ও (ফারহানা) আমাদের সাথে বাইক চালাতো। ফারহানা স্বাধীনচেতা মেয়ে। তার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে আমরা বন্ধুরা ১৫/২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে শহর ঘুরেছি। এতে দোষ কোথায়।
এদিকে ফারহানার প্রতিবেশী তমাল আহমেদ বলেন, ফারহানার মতো মেয়েই হয় না। ভালো মেয়ে। তার বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। পারিবারিকভাবে মেনে নেয়া নিয়ে জটিলতা ছিল। বিয়ে মেনে নেয়ার পর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দুই পরিবার।
তমাল আরো বলেন, ফারহানার পরিবার অনেক আগে থেকেই সংস্কৃতি মনা ও প্রগতিশীল। বাংলাদেশের অভিনয় জগতের তিন নক্ষত্র সূচন্দা, ববিতা ও চম্পা- ফারহানার চাচাতে ফুফু। ফলে সে স্বাধীনচেতা হিসেবে বড় হয়েছে।
তবে ট্রাফিক আইন অমান্য করে ও হেলমেট ছাড়া ফারহানা ও বন্ধুদের বাইক শোডাউন করা নিয়েও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
টাইমস/এসএন