চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তরুণীদের বিক্রি করা হতো ভারতের নিষিদ্ধপল্লীতে

বিনা খরচে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়া নেয়ার কথা বলে তরুণীদের ভারতে নেয়া হতো। পরে ভারতের বিভিন্ন নিষিদ্ধ পল্লীতে এসব তরুণীদের বিক্রি করে দিতো প্রতারক চক্রটি। বিভিন্ন কৌশলে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে তরুণী সংগ্রহ করতো চক্রটি।

পাচারকারী চক্রের মহিলা সদস্যরা প্রথমে কোনো বাসায় সাবলেট হিসেবে ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করতেন। পরে তারা স্থানীয়দের সঙ্গে খাতির জমিয়ে চমকপ্রদ ও লোভনীয় প্রস্তাব দিয়ে তরুণী জোগাড় করতো। এরপর এসব তরুণীকে পাচারকারিদের হাতে তুলে দেয়া হতো।

মঙ্গলবার আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে, নারী পাচারকারী চক্রের হোতা মহেমুনুজ্জামান ওরফে প্রতীক খন্দকার ওরফে বাবু। জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মো. জাকির হোসেন এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

এব্যাপারে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতীক খন্দকার নারী পাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মাস্টারপাড়ায়। প্রতীক খন্দকার এক সময় মালয়েশিয়ায় ছিলেন। মালয়েশিয়া থেকে ফিরে সে নারী পাচারকারি চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে।

সিআইডি কর্মকর্তা জাকির হোসেন আরও জানান, প্রতীকের কথিত স্ত্রী জেরিনের বাসা রাজধানীর জুরাইন এলাকায়। এরই মধ্যে পুলিশ জেরিনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে কারাগারে নেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতীকের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ডিআইজি শেখ রেজাউল হায়দার বলেন, এর আগেও আসামিরা বিভিন্ন নারীকে সৌদি আরব পাঠানোর কথা বলে ভারতে পাচার করতো। ভারতে পাচারের পরে তরুণীদের অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করতো প্রতারক চক্র। এসব বিষয় পাচারকারি চক্রের গ্রেপ্তার আসামিরা স্বীকার করেছেন।

 

টাইমস/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ