খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জুমচাষীরা পুরণ করছেন স্থানীয়দের সবজির চাহিদা। গত বছরের তুলনায় এ বছর জুমে সবজির উৎপাদনও হয়েছে ভাল। জুমে ধানের পাশাপাশি সবজি উৎপাদনে কোনো প্রকার ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয় না। তাছাড়া এ বছর জুমে পোকা মাকড়ের আক্রমণও তেমন নেই বলে জুমচাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
স্থানীয় হাটবাজারে জুমের ভেজালমুক্ত সবজির চাহিদাও ব্যাপক। তাই জুমচাষীরাও পাচ্ছেন ন্যায্যমূল্য। বর্তমানে উপজেলার এমন কোনো হাটবাজার নেই যেখানে জুমের সবজি পাওয়া যায় না। উৎপাদন ভাল হওয়ায় খুশি জুমচাষীরা।
উপজেলার দুর্গম সীমানাপাড়া ও খেদারছড়া এলাকায় কয়েকটি জুম ঘুরে দেখা যায়, হাটবাজারে নিয়ে আসার জন্য নানা প্রকার সবজি তুলছেন জুমচাষীরা। তার মধ্যে রয়েছে, মারফা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, চাল কুমড়া, ঝিঙ্গা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া শাক ও লাউশাকসহ হরেক রকম পুষ্টিকর শাক সবজি।
এ সময় খেদারছড়ার জুমচাষী বর্ণা ত্রিপুরা ও ধনলাল ত্রিপুরা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর জুমে সবজির উৎপাদন ভাল হয়েছে। জুম থেকে সবজি তুলে আমরা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে নিয়ে বিক্রি করি। অনেক সময় স্থানীয় পাইকাররাও জুমে এসে নানা প্রকার সবজি নিয়ে যান। আমরা জুমে সবজি উৎপাদন করতে কোনো প্রকার ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করি না। তাই স্থানীয়দের কাছে জুমের সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন বলেও জানান তারা।
উপজেলার লারমা স্কোয়ার সবজি বাজারে সবজি কিনতে আসা সমর চাকমা ও আজগর আলী জানান, প্রতি বছর এ সময় জুমের সবজি ছাড়া কিছুই ভাবা যায় না। তাছাড়া জুমের ভেজালমুক্ত সবজির মজাই আলাদা। গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলার হাটবাজারে জুমে উৎপাদিত হরেক রকম সবজি পাওয়া যাচ্ছে। দামও একটু কম বলে মনে হচ্ছে। জুমচাষীরাই উপজেলার সবজি বাজার নিয়ন্ত্রনে রেখেছেন বলে জানান তারা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উঙ্কার বিশ্বাস বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এ বছর জুমে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই বর্তমানে জুমচাষীরাই স্থানীয়দের সবজির চাহিদা পুরণ করছেন। তাছাড়া স্থানীয়দের নিকট জুমের ভেজালমুক্ত সবজির ব্যাপক চাহিদা থাকায় জুমচাষীরাও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। ধানের পাশাপাশি মিশ্র সবজিচাষ করায় জুমচাষীরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন।
টাইমস/এসই/এসএন