অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার কারাগার থেকে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাদের শারীরিক পরীক্ষা শেষে র্যাব-১৫ কার্যালয়ে নিয়ে যায় মামলা তদন্ত কর্মকর্তা।
তারা হলেন- টেকনাফের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।
এর আগে তাদের গত ২৫ আগস্ট দুপুর ১২টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (কক্সবাজার সদর-৪) তামান্না ফারাহের আদালতে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছিল। পাঁচ দিন পর উক্ত আদালতের আদেশমতে তাদের রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আদালতের আদেশমতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২০ আগস্ট মামলার উল্লেখিত আসামিদের প্রথম দফায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত ১১ আগস্ট মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে পরে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি ও রামু থানায় একটি মামলা করে। মামলায় এ পর্যন্ত সাত পুলিশ সদস্য, এপিবিএনের তিন সদস্য ও টেকনাফ পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বিভিন্ন সময় প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন কক্সবাজারের আদালত।
গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মো. রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন
সিনহা হত্যা: অভিযুক্ত ৩ সাক্ষী ফের চার দিনের রিমান্ড
ওসি প্রদীপসহ তিন পুলিশ কর্মকর্তা ফের রিমান্ডে
হত্যার অভিযোগে ওসি প্রদীপসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি এজাহার
টাইমস/এইচইউ