রেডিও, টিভি, পত্রিকার অনলাইনের জন্য আলাদা নিবন্ধন বাধ্যতামূলক

টেলিভিশন, বেতার ও ছাপা পত্রিকাগুলোর অনলাইন সংস্করণ এবং আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিও চালাতে নিবন্ধনের বাধ্যবাধকতা রেখে ‘জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা, ২০১৭’ (সংশোধিত, ২০২০) এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে গণভবন থেকে সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে যোগ দেন মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা। সভা শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের নীতিমালার নয়টি অনুচ্ছেদ সংশোধন করে পাঁচটি নতুন অনুচ্ছেদ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের যোগ্যতা-অযোগ্যতা, নিবন্ধন ফি, কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ, লাইসেন্সপ্রাপ্ত টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেতারের নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রচারকাজ পরিচালনা এবং আইপি টিভি ও ইন্টারনেট রেডিওর সম্প্রচার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা (নীতিমালায়) ছিল না, এগুলো ইনক্লুড করা হচ্ছে।

দেশের টেলিভিশন এবং বেতারগুলোও এখন নিউজ পোর্টাল চালাচ্ছে জানিয়ে আনোয়ারুল বলেন, এতদিন এজন্য অনুমতি নিতে হত না, এখন নিতে হবে। আইপি টিভি, ইন্টারনেট রেডিও সম্প্রচারের বিষয়ে (নীতিমালায়) সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা ছিল না, এসব বিষয় নীতিমালায় যুক্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো হার্ডকপিতে যা ছাপছে, হুবহু সেটাই যদি অনলাইনে দিয়ে দেয়, তাহলে কোনো অনুমতি লাগবে না। কিন্তু যদি কেউ ভেরিয়েশন করে, তখন তাকে অনুমতি নিতে হবে। কারণ অনেকেই হুবহু তা দিচ্ছে না। অনলাইন সংস্করণে ভেরিয়েশন থাকলে লাইসেন্স নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রেডিও-টেলিভিশন তো অনলাইন করার জন্য না, তারা যে মাধ্যমে চালাবে সেই মাধ্যমে। তারপরেও যদি অনলাইন করতে হয়, তাহলে রেডিও-টেলিভিশন দুটোকেই (অনলাইনের) অনুমতি নিতে হবে, নিবন্ধন নিতে হবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত সম্প্রচার কমিশন না হবে, ততক্ষণ তথ্য মন্ত্রণালয় যে কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে সেই কর্তৃপক্ষ এসব বিষয় দেখভাল করবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

 

টাইমস/এইচইউ

Share this news on: