ফরিদপুরে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় পিয়াস মিয়া (২১) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আলমগীর কবীর এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত পিয়াস জেলার ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের ফুকুর হাটি গ্রামের পান্নু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায়ের পর তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি স্বপন কুমার পাল বলেন, আদালত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে পিয়াসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানার টাকা আসামিকে পরিশোধ করতে হবে, এ ক্ষেত্রে অনাদায়ের কোনো সুযোগ নেই।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের উচা বাজারের একটি কোচিং সেন্টার থেকে পড়া শেষ করে বাড়ি ফিরছিল ১৫ বছর বয়সী জেএসসি পরীক্ষার্থী ওই স্কুলছাত্রী। ফুকুরহাটি মিয়া বাড়ির সামনে আসলে আগে থেকেই সেখানে থাকা বখাটে পিয়াস ওই শিক্ষার্থীর মুখে ওড়না পেঁচিয়ে রাস্তার পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ওই সময় স্কুলছাত্রীর চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে পিয়াস পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় পরদিন ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে পিয়াসকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন।
২০১৭ সালের ২৬ নভেম্বর ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আজাদ আসামি পিয়াসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় রোববার এ রায় দেন বিচারক।
টাইমস/এইচইউ